বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সগির হোসেনের ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার সকল রুটে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট।
এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকেই যে বাসগুলো সড়কে চলাচল করার কথা ছিল, সেগুলো সারিবদ্ধভাবে থামিয়ে রাখা হয়েছে টার্মিনালে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, 'যতদিন পর্যন্ত এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই ধর্মঘট থাকবে।'
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের বরগুনা- ১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরগুনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনের একটি ব্যানার টাঙাচ্ছিলেন । এ সময় ব্যানারটি হাত ফসকে বরগুনা জেলা বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মালিকানাধীন একটি গাড়িতে পড়ে যায়। এতে ওই গাড়ি চালক ব্যানার টাঙাতে আসা একজনকে ধরে অফিস কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে বেধরক পেটানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
সেখানে বাস মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. ছগীর উপস্থিত ছিলেন। মারধরের খবর পেয়ে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকে মারধর করেন এবং হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন বাস মালিক সমিতি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাস টার্মিনালে আসা যাত্রীরা। টার্মিনালে আসা শিক্ষার্থী আলামিন বলেন, 'আমার মা বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি আছেন। জরুরী ভিত্তিতে আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে এখন আমার বাড়তি টাকা খরচ করে মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল যেতে হবে।'
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু জানান, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের নেতৃত্ব এ হামলা ঘটেছে । তাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আব্দুল হালিম বলেন, 'একটি ব্যানারকে কেন্দ্র করে সেখানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা বা হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি ব্যানার টাঙানো হচ্ছিলো। সেটা একটি গাড়ির উপর পড়ে যায়। ওই গাড়িটিতে সামান্য রঙের আঁচ লাগে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা ওই ব্যানার টাঙাচ্ছিলেন তাদের একজনকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে । এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!