মোতাব্বির হোসেন,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলাধীন ভূয়া সার্টিফিকেট ও জাতীয়তা/ চারিত্রিক সনদ দিয়ে বহু বছর ধরে বিশ্ব বিখ্যাত শেভরন কোম্পানিতে স্বামীর দাপটে চাকুরী চালিয়ে যাচ্ছে যশোর বোর্ডে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত দাবিদার এক নারী।এ মর্মে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের এরিয়া ম্যানেজার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন নবীগঞ্জ পৌরসভার এক যুবক।এ বিষয়ে নবীগঞ্জ শহর টক অব দ্যা টাউন।
অভিযোগ সুত্রে ও ভোটার আইডি কার্ডের লোকেশন মতে জানা যায়,নবীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব তিমিরপর গ্রামের মতব্বির মিয়ার পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম গত ২২ /০৭/২৩ খ্রিস্টাব্দ এরিয়া ম্যানেজার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বিবিয়ানা বরাবর একটি ভয়াবহ প্রতারণার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।উল্লেখ্য,
নবীগঞ্জের ১০ নং দেবপাড়া ইউপির ছিট ফরিদপুর গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের পুত্র এম এ আহমেদ আজাদের ১ম স্ত্রী লায়লা আহমাদ রুনা বিশ্ব বিখ্যাত শেভরন কোম্পানির শাখা বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সাজিয়া কবির নামে সিকিউরিটি অফিসার পদে প্রায় ১০/১২ বছর যাবৎ কোম্পানি সহ দেশের চোখে আঙুল দিয়ে নেতৃত্বের সাথে চাকুরী চালিয়ে যাচ্ছেন।তথ্য সুত্রে জানা যায়, তার জন্ম তারিখ ১৬/০৭/১৯৮৩ ইং,ভোটার আইডি নং ৩৬০৬০৭৭৩২৫৪৪,জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৭৩৪৫৪৭৪৭৫৮,শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক, জাতীয়তা/চারিত্রিক সনদ নং ০০১৩২৯।ভূয়া সার্টিফিকেটে নাম সাজিয়া কবির, সে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাশ করেছে। মাত্র ১২ বছর বয়সে এসএসসি, ১৫ বছর বয়সে এইচএসসি, ১৮ বছরের মধ্যে ডিগ্রি পাশ।১০ নং দেবপাড়া ইউপির জাতীয়তা/চারিত্রিক সনদে নাম সাজিয়া কবির, পিতা,খালিদ মোঃ আকবর হোসেন।স্বামীর ঠিকানা থেকে স্বামীর নাম গোপন করে জাতীয়তা/ চারিত্রিক সনদ তুলেছে অন্য বিভাগের বাবা খালিদ মোঃ আকবর হোসেনের নামে,তাও একটা প্রতারণা।তার স্বামী আজাদ কে নিয়ে ভূয়া সনদ সৃজন করিয়াছে জানায় সুত্র। অভিযোগকারী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এ দেশের বুকে আমাদের ভাইবোন বা ছেলেমেয়ে কে অনেক কষ্ট পরিশ্রম করে পড়াশোনা করিয়েছি, চাকুরী না পেয়ে অনেকে কৃষি,খামারে অথবা রিকশা চালিয়ে জীবন যাবন করছে,তারা ভূয়া সনদ সৃজন করিয়া প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দাপটে বড় পদে চাকুরী করে বিলাসী জীবনযাপন করছে। আমি মনে করি গোটা দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সাথে এটা প্রতারণা হয়েছে।আশা করি সুনামধন্য কোম্পানি তদন্ত সাপেক্ষে জালিয়াতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে দেশে কারো এমন প্রতারণা করার সাহস হবে না এবং সুশিক্ষিত ছেলেমেয়ে সঠিক উপায়ে চাকুরী করার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের এরিয়া ম্যানেজার ইশতিয়াক রহিমের সাথে আলাপ করিলে তিনি জানান, অভিযোগ আমি পেয়েছি, বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।১০ নং দেবপাড়া ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান আ,ক,ম ফখরুল ইসলাম কালামের সঙ্গে জাতীয়তা/চারিত্রিক সনদ নিয়ে আলোচনা করিলে,তিনি সনদটি দেখতে চান। ছবি তুলে পাঠানোর পরে তিনি জানান স্বাক্ষর আমার কি না চিনতে পারছি না।সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই-বাছাই করিলে সত্যতার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে শত চেষ্টা করলেও কথা বলা যায়নি।এমনকি তার স্বামী এম এ আহমেদ আজাদের মোবাইল নাম্বারে কল দিলে রিসিভ করেন না
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!