ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | ২০ এপ্রিল ২০২৫
শরীয়তপুর সদরের কীর্তিনাশা নদীর দুই পাড় ও নদীপথ গতকাল শুক্রবার রাতে পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ডাকাতি শেষে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে গুলি ও ককটেল ছুড়েও রক্ষা পেল না সন্দেহভাজন ডাকাত দল। স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনিতে দুইজন মারা যান এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন।
ঘটনাটি ঘটে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডে ডাকাতি চালায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। ঘটনাটি টের পেয়ে স্থানীয় নৌযান শ্রমিক ও এলাকাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে ডাকাতরা স্পিডবোটে করে পালাতে শুরু করে।
স্থানীয়দের প্রতিরোধ, ডাকাতদের গুলিবর্ষণ ও ককটেল হামলা
পালানোর সময় ডাকাত দল স্থানীয়দের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল ছোড়ে। খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে কীর্তিনাশা নদীর দুই তীর ও নদীপথে ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ। ডোমসার তেঁতুলিয়া এলাকায় এসে একটি ইটভাটায় আশ্রয় নেয় ডাকাত দল। সেখানেই স্থানীয়রা তাদের ঘেরাও করে পিটুনি দেন।
রাত ১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত ১৩ জন, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনতাসির খান জানান, রাত ১০টার পর থেকে আহতদের হাসপাতালে আনা শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির সময় পালিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা হামলা চালায়। গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করা হয়েছে।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!