র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্রধারী অপরাধী, পর্নোগ্রাফি, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, মাদকসেবী, অপহরণ ও ধর্ষণসহ মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামছে র্যার। অভিযানে বিশেষ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও মিছিলে যারা অস্ত্র প্রর্দশনী করছে সেসব চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার ১৮-ই নভেম্বর ২০২৩ ইং বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সরকারি দলের অনেকে মিছিল-সমাবেশে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে তাদেরকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, অবৈধ অস্ত্র শুধু প্রর্দশন নয় অবৈধ অস্ত্র নিজ জিম্মায় রাখাও একটি অপরাধ । যারা নাশকতাকারী বা দুষ্কৃতকারী তাদের কোনো দল নেই, তাদের পরিচয় নাশকতাকারী। আর অবৈধ অস্ত্র যেই প্রদর্শন করুক সে যে দলের হোক সে একজন অপরাধী। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে জিরো টলারেন্সে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামবে র্যাব বলে জানান তিনি।
গণমাধ্যম কর্মীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাশকতাকারীরা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে কিছু চোরাগোপ্তা হামলা করছে। এসব হামলা প্রতিরোধে র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে অবস্থান করছে, গণপরিবহনে যাত্রীবেশে অবস্থান করছে। আমরা বেশ কয়েকজনকে নাশকতার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, সাদা পোশাকে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহনে অবস্থানে র্যাবের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া আমরা হামলার জায়গাগুলো শনাক্ত করছি, বাস মালিকদের সঙ্গে বসেছি, যারা যে সহায়তা চায় দিচ্ছি। এর ফলে চলন্ত গাড়িতে কিন্তু অগ্নিসংযোগ কমেছে। বাস মালিকদের অনুরোধ করবো যাতে নির্জন স্থানে যানবাহন না রাখেন।
অবরোধ শুরুর পর থেকে পরবর্তী সময় যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী যানবাহন ও তেলবাহী লরিসহ ১৭ হাজারের বেশি গাড়িকে স্কট প্রদান করেছে র্যাব। চারশোর বেশি কনভয়কে স্কট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা এটা করছি যাতে অর্থনৈতিক চেইনটা ঠিক থাকে। আমাদের এই স্কট চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে র্যাবের চার শতাধিক টহল টিম স্কটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবরোধে ৫০ টির বেশি তেলবাহী লরিকে স্কট দিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও মন্তব্য করেন র্যাবের এই চৌকস কর্মকর্তা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!