চাঁদপুর থেকে মো রাব্বি ঢালী।। চাঁদপুরে টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে ২৯৫০ পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
অভিযানে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর।
২৮ জুন, ২০২৫ চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় মাদকবিরোধী এক বড় অভিযান পরিচালনা করেছেন টাস্কফোর্স। শনিবার (২৮ জুন) পরিচালিত এই পৃথক অভিযানে মোট ২,৯৫০ পিস অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স এই সফল অভিযান পরিচালনা করেন ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক ও এই অভিযানের বাদী মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে কচুয়া উপ জেলায় একটি অভিযান পরিকল্পনা করা হয়।
কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বাপ্পি দত্ত রনি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হাজিগঞ্জ ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জনাব ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে ২০ জন সেনাসদস্যের একটি চৌকস দল অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযানের প্রথম ধাপে কচুয়া থানাধীন পূর্ব কালচো গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে মোঃ মহিন উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বসতঘরে তল্লাশি করে তার দখল থেকে ১,৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক মহিন উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে।পরবর্তীতে, মহিন উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ 'বিসমিল্লাহ জেনারেল হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে' আকস্মিক অভিযান চালায় টাস্কফোর্স।
সেখান থেকে মোঃ সেলিম নামের আরেক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে আরও ১,২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। আটক সেলিম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার হোয়াইকং নয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। তার কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় একটি চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে মাদকের নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দুই অভিযানে সর্বমোট (১৭০০+১২৫০) = ২,৯৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে, যার আনুমানিক ওজন ২৯৫ গ্রাম।এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আটককৃত মোঃ মহিন উদ্দিন ও মোঃ সেলিমের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এই মাদক চক্রের সাথে আর কারা জড়িত আছে, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চাঁদপুরকে মাদকমুক্ত করতে এ ধরনের সমন্বিত অভিযান আগামীতেও চলবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!