কুষ্টিয়া, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়ায় রবিবার (২ জুন) এক অনুষ্ঠানে তাদের বীরত্বগাথা শোনালেন চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শুনতে আসেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাঁচশ শিক্ষার্থী।
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা শোনান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আখতারুজ্জামান মাসুম, মানিক কুমার ঘোষ, রফিকুল আলম টুকু ও আবদুল মোমেন। তারা একাত্তরের সম্মুখ যুদ্ধের বর্ণনা দেন, যখন তারা কিভাবে যুদ্ধ করেছিলেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্ন করতেন।
মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আখতারুজ্জামান মাসুম বলেন, "একাত্তরের ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রনি রহমান পেট্রোল বোমা বানিয়ে পাক বাহিনীর টহল দলের উপর হামলা করতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন।" তিনি বলেন, "আমি তখন তার এক কদম পিছনে ছিলাম।"
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোমেন যুদ্ধে পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, "গুলিটা আর একটু উপরে লাগলেই আমি মারা যেতাম। পরে ভারতে চিকিৎসা নিয়েছি।"
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের পরিচালক নুরুল আমিন।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ থেকে সরাসরি যুদ্ধের বর্ণনা শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছে।এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বজায় রাখা সম্ভব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!