ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯ নং গোবিন্দপুরের সোভান আলতা শেখ বাড়িতে দীর্ঘদিন চলে আসছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ। জানা যায় প্রায় ২০- ২৫ বছর পূর্বে নাবালক সন্তান-সন্ততি রেখে আব্দুল লতিফ গাজী মারা যান। এ সুযোগে সম্পর্কে চাচা আবুল বাশার ঐ গাজী বাড়ির সকল ওলি ওয়ারিশদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ লাগিয়ে রাখেন।
মরহুম লতিফ গাজীর সন্তানরা বড় হলে ঘর দরজা তৈরীর জন্য পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারার কথা উঠে। আব্দুল লতিফ গাজীর জীবদ্দশায় সন্তানদের যেখানে রেখে যান ওই ভূমিটুকু অন্যদের দখলে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আবুল বাশার শেখের বিরুদ্ধে । মরহুম আঃ লতিফ গাজীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক গাজী, মোঃ খোকন গাজী, মোঃ মমিন গাজী, মোঃআলামিন গাজী, মোঃজসিম গাজী, চাচা আবুল বাশারের প্রতিপক্ষমূলক আচরণের কারণে দূরত্ব বাড়ে আব্দুর রাজ্জাক গংদের এমনটি জানালেন আব্দুর রাজ্জাক গাজী গংরা।
আব্দুর রাজ্জাক গাজী এ প্রতিবেদককে বলেন আবুল বাশার ব্যাটালিয়ন পুলিশে চাকরি করতো ওই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিনিয়ত হুম ধমকি সহ নানামুখী অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বিগত ১৯শে মে অনুমান সকাল ৮ টায় আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি থেকে বিভিন্ন প্রকারের গাছগাছরা কাটিয়া প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি আমাদের ভূমিতে জোরপূর্বক দালান নির্মাণের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় আব্দুর রাজ্জাক গাজী প্রতিকারের প্রার্থনায় একটি অভিযোগ দায়ের করিলে থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান সরেজমিনে এসে কাজ বন্ধ করে দেন এবং উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানা আসার জন্য বলেন কথামত উভয়পক্ষ থানায় আসেন এবং পুলিশ অফিসার উভয়কে বলেন আপনারা শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখেন ২৯ শে মে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের পর কাগজপত্র দেখে সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে ভাগ-বাটোরা করে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। পুলিশ অফিসারের এমন নির্দেশনাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবুল বাশার পুনরায় দালান নির্মাণের চেষ্টা করিলে আব্দুর রাজ্জাক গংরা নিরুপায় হইয়া মাননীয় আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত অফিসার ইনচার্জ ফরিদগঞ্জ থানাকে নির্দেশনা দেন যে বিরোধী জায়গায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ পক্ষদ্বয়কে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২৯ শে মে বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় উভয়পক্ষকে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইন চার্জ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সামনাসামনি বলে দেন এবং উভয় পক্ষকে এসি ল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক জানান এতসব নির্দেশনা অপেক্ষা করে আইন আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষমতার চুলকানিতে উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দালান নির্মাণ করতে যান। ভূমির মালিক আব্দুর রাজ্জাক গংরা উক্ত সংবাদ শুনে বাধা দিতে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এ বিষয়ে উভয় পক্ষেই যখন প্রাপ্ত হন বাজে পক্ষের প্রায় দুই তিনজন চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক গাজী। এ বিষয়ে আবুল বাশার শেখের মুঠোফোন নং ০১৮৫৭০৮৩৮৯৮ তে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয় আদালতের সত্ত্বেও বিরোধীয় ভূমিতে আপনি দালান নির্মাণ করতে গেলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার উপরও হামলা হয়েছে আমি থানায় গিয়ে আপনাকে কল করবো।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!