নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে দুবাইয়ে ৪৫৯ জন বাংলাদেশি গড়েছেন বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ও বিপুল সম্পদের পাহাড়। গোল্ডেন ভিসার আওতায় তাঁরা ২০২০ সাল পর্যন্ত কিনেছেন ৯৭২টি প্রপার্টি, যার কাগজপত্র অনুযায়ী মূল্য প্রায় ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার—বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার বেশি।
এই তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা Center for Advanced Defense Studies এবং ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান EU Tax Observatory।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান শুরু
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরইমধ্যে ৭০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও। তাদের কর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য এনবিআরকে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) চিঠি দিয়েছে দুদক।
বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থপাচার
দুদকের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থেই এসব সম্পদ কেনা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন: আহসানুল করীম, হুমায়রা সেলিম, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, খালেদ মাহমুদ, মায়নুল হক সিদ্দিকী, মো. রাব্বী খান, ফারহানা মোনেমসহ আরও অনেকে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সম্পদের তদন্তে দুদককে নির্দেশ দেয়। এর ভিত্তিতেই একটি তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে কমিশন।
প্রবাসে বাংলাদেশিদের সম্পদ গোপন রাখার প্রবণতা
তথ্য মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের সম্পত্তি কেনার হার বহুগুণে বেড়েছে। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশিরা প্রপার্টি কেনার দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!