ঠিকাদাররা জানান, একটি রাউটারের সর্বোচ্চ বাজার দর ৫-৭ হাজার টাকার মধ্যে। অথচ দরপত্রে রাউটারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ টাকা। একটি অপটিক্যাল ফাইবারের মূল্য দেওয়া হয় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক।
দরপত্রে ৪টি ডিজিটাল ওয়েটবোর্ডের মূল্য ধরা হয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ১২টি ডেস্কটপ পিসির মূল্য ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি প্রিন্টারের মূল্য ৬০ হাজার টাকা। এভাবে প্রতিটি সরঞ্জামের দাম বহুগুণ দেখিয়ে অধ্যক্ষ পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতিয়ে নেন। এছাড়া একাধিক মালামাল অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতির তদন্ত করতে আসা দুদক (চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর) সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরে সাংবাদিকদের জানানো হবে।
ঠিকাদাররা বলেন, বিগত কয়েক বছর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের টেন্ডারে আহ্বানকৃত কাজগুলো সর্বনিম্ন ঠিকাদারকে না দিয়ে উচ্চ দরদাতাকে দেওয়া হয়। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়, যা পিপিআরবহির্ভূত। দরপত্রে ১ম, ২য় কিংবা ৩য় প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে ৫ম ও ৬ষ্ঠ অবস্থানে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার কাজ দেওয়ায় বঞ্চিত ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!