BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম, শ্বশুর ফারুক গাজী, শ্বাশুড়ী খাদিজা বেগম ও চাচা শ্বশুর মঞ্জু গাজীসহ ১০ জন আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ছয় বছরে দাম্পত্য জীবনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয় শুক্রবার সকালে বিষপান করেছেন। স্বজনার তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের প্রেরন করেছে। শনিবার দুপুরে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে আমতলীর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার দাম্পত্য জীবনের সুদীর্ঘ লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।জানাগেছে, ২০১৮ সালে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নান্নু মোল্লার ছেলে নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয়ের সঙ্গে আরেক ব্যবসায়ী চাওড়া চলাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক গাজীর মেয়ে ফারিয়া জান্নাতি মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই স্ত্রী মীমের প্রেমিক আমতলী পৌর শহরের লোচা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী বারেক প্যাদার ছেলে রাকিবের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ ছবি স্বামী তনয়ের হাতে ধরা পড়ে। এ নিয়ে স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্ধ হয়। পরে প্রেমিক রাকিব তাকে (তনয়) জানায় তার স্ত্রী মীমের সঙ্গে তার আগে বিয়ে হয়েছে। দ্বন্ধ আরো চরম আকার ধারণ করে। এর মধ্যে ওই দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও স্ত্রী মীমতে সুপথে আনতে পারেনি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবী করেন তনয়।