নাইম তালুকদার :
নাছির উদ্দীন চৌধুরী নতুন করে বলার কিছু নয়। যিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে দিরাই শাল্লা'র এমপি সাহেব। দিরাই শাল্লায় অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্ম হয়েছে। তাদের মধ্যে সব সময় অন্যতম নাছির উদ্দীন চৌধুরী। রাজনীতিক প্রজ্ঞা আর কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা তুলনাহীন । মানুষটি তার সৎ ভাইদের নির্যাতনের শিকার হয়ে শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়ে ঢাকাস্থ শাহবাগের স্পেশাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ তাহাকে দেখে আসলাম। একজন জাতীয় নেতা যে কতটা আন্তরিক তার কাছে না গেলে বুঝতে পারবেন না। এমপি সাহেব নিজের শরীরের প্রতি কোন খেয়াল নেই। সব সময় মাথায় দিরাই শাল্লা। বেচারা ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তার পর ও কেন দিরাই শাল্লা নিয়ে এত মায়া কান্না। আমি দীর্ঘ তিন ঘন্টা এমপি সাহেবের সাথে একজন ছোট মানুষ হিসেবে গল্প গোজব করলাম। কত বন্ধু সুলভ কথা বার্তা। বললেন , সাংবাদিক: বল দিরাই শাল্লা'র খবর । পানি আইছে নাকি। আমার হাওড় পাড়ের মানুষ গুলো কেমন আছেন। আমি শ্রীঘই দিরাই শাল্লায় যাবো। ঢাকায় যত আরামে থাকি না, কেন সব সময় দিরাই -শাল্লার প্রতি আমার মন।
বললাম লিডার শরীরের অবস্থা কেমন? লিডার: আমি অতটা দুর্বল ছিলাম না। সম্পদের লোভে আমার সম্পদ হরণ করার জন্য আমাকে পরিক্লপিত ভাবে দূর্বল করা হয়েছে।
যাক শারীরিক অবস্থা কিছুটা দূর্বল হলেও আমার মন এখন ও শক্ত আছে। আমি মনের দিক দিয়ে শক্ত আছি। এখনও চোখ বন্ধ করলে দিরাই শাল্লা'র অনেক চিত্র আমার নয়নে ফুটেউঠে। আল্লাহ যদি আমাকে হায়াতে ধমে রাখেন, দিরাই শাল্লা নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। আমার দীর্ঘদিনের প্রেম ভালোবাসা দিরাই শাল্লা'র সর্বস্তরের মানুষের সাথে। চিকিৎসরা আমার চিকিৎসা নিচ্ছেন ধীরে - ধীরে সুস্থ হচ্ছি। দিরাই থেকে আসার পর আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অনেক ভালো আছি। আমার চিকিৎসার কার্যকম শেষে আমি দিরাই শাল্লায় অবস্থান করবো। উনার সহধর্মিণী পারভিন চৌধুরী'র কথা না বললেই না। এমপি সাহেবের সাথে একাধিক বার দেখা হলেও পারভিন মেডামে'র সাথে আমার জীবনে কখনও দেখা হয়নি। কিন্তু উনার আচরণ ও কথা বার্তায় এমপি সাহেবকেও হার মানাবে। এমপি সাহেবের চেয়ে তিনি শতগুন আন্তরিক।
মেয়ে মানুষ হয়ে তিনি যে ভাবে নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের সামাল দিচ্ছেন তা আসলেই প্রশংসনীয় । আমি অল্প সময় ছিলাম কত মানুষের সাথে তিনি কথা বলতেছেন। অনেকে'র অনেক প্রশ্নের জবাব : তিনি কিভাবে দিচ্ছেন ভাবতে অবাক লাগে। হাসিমুখে কথা বলতেছেন, চা কফি'র খেদমত ও করছেন। তার আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় বহিঃপ্রকাশ পায় যে তিনি ও হতে পারেন আগামী'র দিরাই শাল্লা'র স্বপ্নদ্রষ্টা । মেয়ে নাজিয়া চৌধুরী ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া মেয়ে, বাবা'র প্রতি আকাশসম ভালোবাসা । খেয়ে না খেয়ে পরে আছে বাবা'র পাশে। ঢাকা শহরের মেয়েরা আজকাল কে রাখে বাবা মায়ের খবর। কিন্তু নাজিয়া ও তার বোনদের দেখলে বুঝা তারা আসলেই প্রকৃত বাবা প্রেমিক।
নাজিয়া'র সাথে কথা বললাম। সে তার বাবাকে সুস্থ করতে যদি বিদেশে যেতে তারা যেতে ইচ্ছুক। তারপর ও শতভাগ সুস্থতা চান নাজিয়ারা । পারভিন চৌধুরী বলেন, আমার স্বামীকে ব্যাক্তিদের বানানো আয়না ঘরে রাখা হয়েছিল। তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। চিকিৎসকদের রিপোর্ট দেখলে বুঝতে পারবেন। আমার স্বামী'র নির্যাতনের সাক্ষী দিরাই শাল্লার মানুষজন। তিনি ঢাকা'য় আসার পর অনেকটা সুস্থ। রীতিমত চিকিৎসকদের আওতাধীন থাকলে তিনি আরো সুস্থ হবেন। একদল কুচক্রী মহল বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমার স্বামীকে শারীরিক দূর্বল আখ্যায়িত করে বক্তব্যে দিয়ে নিজেকে বিএনপির প্রার্থী দাবী করছেন। এটি আসলেই অপরাজনীতি ও মিথ্যার আশ্রয়। তিনি আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ। চিকিৎসা শেষে তিনি দিরাই শাল্লা'র আপামর জনতার কাছে যাবেন। আপনাদের এমপি সাহেবের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
লেখক : গণমাধ্যম কর্মী.....
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!