মোঃ আব্দুর রহমান (আয়ান):
বৃহত্তর লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দুই নং চরবংশী ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এগারোটা ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বালু উত্তোলনকারী চক্রের সদস্যরা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করা হয়।
মোঙ্গলবার দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহেদ আরমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২ নং চর বংশী ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করে আসছিল কিছু বালু দস্যু। স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ধ্বংস করছিলেন তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনকালে এগারোটা ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এরপর দুপুর ৩ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চরবংশীর মেঘনা বাজার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী একজনকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এবং ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদ আরমান বলেন, ‘ওই ইউনিয়নে এক শ্রেণির বালু খেকো অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এতে পরিবেশ ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রাজীব কুমার সরকার স্যার এঁর নির্দেশনায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান খান এঁর তত্ত্বাবধানে স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। বালু উত্তোলনকারী ১১টি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়।’ অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল সর্দার (৪৫) নামক একজন অপরাধীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ১৫ ধারায় আটক করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদ আরমান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!