আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় ৫ মাস পর নূরজাহান (৩২)নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন রসুলপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গৃহবধূর স্বামীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে গৃহবধূর লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। পরে মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।
গৃহবধূ নূরজাহানের বাবা মাওলানা মোস্তফা জানান, গত ১১ মে রাতে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মারা যায়। তার মৃত্যুর ২২ দিন পর তার জামাতা জাকির তার পরকিয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরে তোলে। এরপর জাকির তার এক মেয়ে ও এক ছেলেকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বাড়িতে আসার পর তার নাতি জুবায়ের বলে-তার মাকে মারধর করে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে তার বাবা। নাতির কাছ থেকে এমন ঘটনা শুনে সুষ্ঠু বিচার পেতে নিহত গৃহবধূ নূরজাহানের বাবা মাওলানা মোস্তফা বাদি হয়ে গত ৫ জুলাই চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামাতা জাকিরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাবুল আখতার বলেন, নূরজাহান নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর পর আদালতে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলার ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে গৃহবধূর লাশ তোলা হয়েছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!