রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে আড়ংয়ের নতুন বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধনের পর থেকেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের পাশাপাশি অনেকেই শুধু দেখতে এসেছেন আড়ংয়ের এ বিশাল ও দৃষ্টিনন্দন বিক্রয়কেন্দ্রটি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারুশিল্প বিক্রয়কেন্দ্র
আড়ং কর্তৃপক্ষের দাবি, ৬০ হাজার বর্গফুটের এই আটতলা ভবনটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারুশিল্পের বিক্রয়কেন্দ্র। ভবনের প্রতিটি তলাতেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ ও দেশীয় ঐতিহ্যের অনন্য উপস্থাপন। ভবনের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম নকশিকাঁথা ‘মহারঙ্গ’, যা ২৫০ জন কারিগরের ছয় মাসের পরিশ্রমে তৈরি।
কেনাকাটার জন্য ক্রেতাদের আগ্রহ

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নতুন বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করায় ক্রেতাদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। ভবনটির প্রতিটি তলাতে রয়েছে আলাদা বিভাগ—
প্রথম তলা: আড়ং আর্থ ও ডেইরি পণ্য
দ্বিতীয় তলা: নারীদের গয়না, ব্যাগ, জুতা
তৃতীয় তলা: নারীদের পোশাক, ‘তাগা উইমেন’ ও ‘হারস্টোরি’
চতুর্থ তলা: শিশুদের পোশাক ও খেলনার পাশাপাশি খেলার স্থান
পঞ্চম তলা: ছেলেদের পোশাক ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী
ষষ্ঠ তলা: ‘তাগা ম্যান’ কালেকশন
সপ্তম তলা: ‘অরেঞ্জ প্যারট’ রেস্তোরাঁ (শীঘ্রই চালু হবে)
সাজসজ্জা ও পরিবেশ

নতুন বিক্রয়কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ হলো পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক সাজসজ্জা। ভবনের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করা হয়েছে দেশীয় মৃৎশিল্প, কাঠ ও তামার কারুকাজ। এমনকি ছাদেও নজরকাড়া নকশা করা হয়েছে। পুরো ভবনজুড়ে সবুজ গাছপালা থাকায় এক ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
বিক্রয়কেন্দ্র খোলা থাকবে মধ্যরাত পর্যন্ত
বিশাল পরিসরের এ বিক্রয়কেন্দ্রটিতে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সময়সূচি রাখা হয়েছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে আড়ংয়ের এই নতুন শোরুম।
নতুন বিক্রয়কেন্দ্র সম্পর্কে ক্রেতারা বেশ উচ্ছ্বসিত। কেউ কেউ বলছেন, "এত বড় ও সুন্দরভাবে সাজানো বিক্রয়কেন্দ্র আগে দেখিনি। কেনাকাটার পাশাপাশি ঘুরে দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।"
এতসব আয়োজনের কারণে ধানমন্ডির এই নতুন বিক্রয়কেন্দ্রে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় কমার কোনো লক্ষণই নেই!
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!