শীতের আগমনের পরও ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ কমেনি। শিশুদের মধ্যে জ্বর দেখা দিলে অভিভাবকদের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ দেখা যায়। তবে সব ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি নয়। ডেঙ্গুতে গুরুতর লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
- গুরুতর লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি। সেগুলো হলো:
- তীব্র জ্বর (১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
- তীব্র মাথাব্যথা।
- চোখের পেছনে ব্যথা।
- মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথা।
- তীব্র বমিভাব।
- খাবারে প্রচণ্ড অরুচি।
- মাথা ঘোরা বা দুর্বল অনুভব করা।
এই লক্ষণগুলো সাধারণত জ্বরের দুই-তিন দিনের মধ্যে বা জ্বর কমার পর দেখা দেয়।
- ডেঙ্গুর চিকিৎসা পদ্ধতি
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ এবং এটি নিজে নিজেই সেরে ওঠে। তবে এটি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। মূলত শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করাই এর প্রধান চিকিৎসা। গুরুতর অবস্থায় শিরায় স্যালাইন দেওয়া হয়।
যেসব শিশু কিডনি, লিভার বা রক্তজনিত জটিলতায় ভুগছে বা বিশেষ ওষুধ সেবন করছে, তাদের জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- প্লাটিলেট নিয়ে ভুল ধারণা
ডেঙ্গুর সময় প্লাটিলেট কমে যাওয়াকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মনে করা হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানিশূন্যতা, বুক ও পেটে পানি জমা এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়। এ ধরনের জটিলতায় বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রয়োজন।
- করণীয় নির্দেশিকা
জ্বর শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করুন।
প্রয়োজনে প্রতিদিন সিবিসি (CBC) পরীক্ষা করান।
ডেঙ্গুর তীব্র উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিন।
- পরামর্শ
ডেঙ্গু জ্বরের সময় শিশুর প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে এবং শরীরের পানিশূন্যতা এড়াতে তরল খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। কোনো ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!