নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষের অভাব, ল্যাব স্থাপনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দিয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ আলী তোহা বলেন, “এটা আমাদের মৌলিক অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, হল, ক্লাসরুম, এমনকি মূল ফটকও নেই। বারবার ক্লাস ছেড়ে রাজপথে নামতে হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যখন সারা দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে, তখন আমাদের এই অবহেলা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।”
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা প্রধান দাবি:
১. বৃহত্তর অবকাঠামো উন্নয়ন ও আবাসন ভাতা:
অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করে কমপক্ষে ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ, নতুন ভবন নির্মাণ এবং আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হল না হওয়া পর্যন্ত ভাতা চালু করতে হবে।
২. শিক্ষক ও ল্যাব সরবরাহ:
প্রতিটি বিভাগে ২০ জন শিক্ষক, পর্যাপ্ত ল্যাব এবং অফিস সহকারী নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট নেওয়ার দাবি।
৩. ডিজিটালাইজেশন:
ফলাফল, আর্থিক লেনদেনসহ সব তথ্য অনলাইনে প্রাপ্তির ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা।
৪. দুর্নীতির বিচার:
পূর্ববর্তী দুর্নীতিগুলো তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. সমাবর্তন ও ছাত্র সংসদ:
দ্রুত সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা, ছাত্র সংসদ গঠন এবং রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দুর্জয় শুভ, পদার্থবিজ্ঞানের নিঘাত রৌদ্র, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরাফাত হোসেন, ইংরেজির নূপুর রায় ও নওরীন নীরাও বক্তব্য দেন।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে, তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!