logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - সারা দেশ- কয়রায় উপকূলীয় নারীদের মাঝে পিরিয়ড কাপ বিতরণ

কয়রায় উপকূলীয় নারীদের মাঝে পিরিয়ড কাপ বিতরণ

কয়রায় কাপভার্ট ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে উপকূলীয় নারীদের মাঝে জলবায়ু বান্ধব পিরিয়ড কাপ বিতরণ।

কয়রায় উপকূলীয় নারীদের মাঝে পিরিয়ড কাপ বিতরণ । ছবি প্রতিনিধি

সাইফুল ইসলাম, কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ


উপকূলীয় এলাকার নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশবান্ধব মাসিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে খুলনার কয়রা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাপভার্ট ক্যাম্পেইন’। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের শতাধিক নারীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে জলবায়ু সহনশীল পিরিয়ড কাপ।


জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি সংকট, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও স্যানিটেশন সংকট দীর্ঘদিন ধরেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই বাস্তবতায় পরিবেশবান্ধব ও পুনঃব্যবহারযোগ্য পিরিয়ড কাপ নারীদের জন্য একটি টেকসই সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


একটি জরিপের তথ্যমতে, জরিপকৃত ৭২.৩% নারী এখনো মাসিকের সময় পুরনো কাপড় ব্যবহার করেন, যা ধুতে পুকুর বা নদীর লবনাক্ত পানি ব্যবহৃত হয়, ফলে চর্মরোগ, জননাঙ্গ সংক্রমণ, এমনকি জরায়ু অপসারণের মতো জটিলতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪% নারী জননাঙ্গজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ বেশি।

আরও পড়ুন

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় অসহায় ও দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় অসহায় ও দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ

অনেকে প্যাড ব্যবহার করলেও পানির স্বল্পতার কারণে সেটি যথাযথভাবে পরিবর্তন করতে পারেন না। আর কেউ কেউ বাধ্য হয়ে মাসিক বন্ধ রাখতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করেন, যা দীর্ঘমেয়াদে আরও ঝুঁকিপূর্ণ।


গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের  আঞ্চলিক কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার কাপভার্ট ক্যাম্পেইন মাধ্যমে ২য় ধাপের এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন  অনু্ষ্ঠিত হয়। ১ম ধাপে ৭ জন নারীকে এ সুবিধা প্রদান করা হলে তারা সফল ভাবে বর্তমানে কাপ ব্যবহার করছে।


গিভ বাংলাদেশ খুলনার আঞ্চলিক প্রধান আল-আমিন ফরহাদ বলেন,


"উপকূলের নারীরা প্রতিনিয়ত যে প্রতিকূলতায় মাসিক সামলান, তা কল্পনারও বাইরে। Cupvert তাঁদের জন্য শুধু একটি স্বাস্থ্যসেবা নয়-এটি মর্যাদার জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার একটি উদ্যোগ।"


এই কোহর্টের অংশগ্রহণকারীদের মাসিক পরিচর্যার অভ্যাস ও প্রয়োজন সম্পর্কে বেইজলাইন ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে, এবং আগামী ১৮ মাসব্যাপী মনিটরিং ও তথ্য সংগ্রহ চলবে। এই ক্যাম্পেইনের মূল ভিত্তি হচ্ছে কমিউনিটি-নির্ভর বিশেষজ্ঞ-সহায়ক মডেল, যেখানে একজন নারী অন্য নারীকেও কাপ ব্যবহারে উৎসাহ দেবেন, একটি আত্মপ্রবাহিত পরিবর্তনের শুরু হবে।


কর্মশালায় ৫৩ জন নারী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেন menstrual cup ব্যবহারের বিষয়ে। প্রত্যেককে বিনামূল্যে একটি করে কাপ সরবরাহ করা হয়েছে, যা দ্বারা তারা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মাসিক ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন- মাত্র কয়েক মগ পানি দিয়েই পরিষ্কার করা সম্ভব এমন একটি টেকসই সমাধান।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

কয়রায় উপকূলীয় নারীদের মাঝে পিরিয়ড কাপ বিতরণ

কয়রায় কাপভার্ট ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে উপকূলীয় নারীদের মাঝে জলবায়ু বান্ধব পিরিয়ড কাপ বিতরণ।

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

সাইফুল ইসলাম, কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ


উপকূলীয় এলাকার নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশবান্ধব মাসিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে খুলনার কয়রা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাপভার্ট ক্যাম্পেইন’। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের শতাধিক নারীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে জলবায়ু সহনশীল পিরিয়ড কাপ।


জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি সংকট, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও স্যানিটেশন সংকট দীর্ঘদিন ধরেই

একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই বাস্তবতায় পরিবেশবান্ধব ও পুনঃব্যবহারযোগ্য পিরিয়ড কাপ নারীদের জন্য একটি টেকসই সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


একটি জরিপের তথ্যমতে, জরিপকৃত ৭২.৩% নারী এখনো মাসিকের সময় পুরনো কাপড় ব্যবহার করেন, যা ধুতে পুকুর বা নদীর লবনাক্ত পানি ব্যবহৃত হয়, ফলে চর্মরোগ, জননাঙ্গ সংক্রমণ, এমনকি জরায়ু অপসারণের মতো জটিলতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪% নারী জননাঙ্গজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ বেশি।