কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত ও গালিগালাজ করার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) শালবন বিহার জাদুঘর সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মোড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম ফরহাদ মজুমদার (২৫)। তিনি কুমিল্লা সদর উপজেলার সালমানপুর গ্রামের মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শালবন বিহার জাদুঘর সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মোড়ে এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত ও গালিগালাজ করছিলেন ফরহাদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রক্টর ড. রবিউল হাসান বলেন, “অভিযুক্ত ফরহাদ মজুমদারকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উত্যক্তের শিকার শিক্ষার্থী জানান, তিনি কোটবাড়ি থেকে ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির পাশে তার বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন ফরহাদ রাস্তার পাশে থাকা গাছের গুড়ির উপর বসে ছিলেন। তখন ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির দিক থেকে ক্যাম্পাসের দিকে তার কয়েকজন জুনিয়র আসছিল। তাদের উদ্দেশ্য করে ফরহাদ জিজ্ঞেস করেন, “কিরে ভার্সিটির নাকি?” তখন জুনিয়রগুলো ভয় পেয়ে যায়। তারা বলে, “হ্যাঁ ভাই ভার্সিটির।” এরপর ফরহাদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, “জুনিয়রদের মুখে এসব কথা শুনে আমিও ভয় পেয়ে যাই। তখন পাশের বাসা থেকে একজন আঙ্কেল বের হলে আমি উনার সহযোগিতা চাই। এরপর ফরহাদ আমার কাছে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এরপর আমি দৌড়ে বাসায় গিয়ে আমার জুনিয়রদের ফোন দেই। তখন জুনিয়ররা এসে ফরহাদকে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।”
প্রক্টর অফিসে অভিযুক্ত ফরহাদ মজুমদারের সাথে কথা বললে তিনি উত্যক্ত ও গালিগালাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি ড্রাংক ছিলাম। কিন্তু, আমি আপুকে কিছু বলিনি।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “আমি আমার পরিবারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব।”
এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আসফার খান বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যদি থানায় অভিযোগ করে তাহলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিব। আপাতত প্রাথমিক তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, “আমরা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। সে পরিবারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে থানায় অভিযোগ করবে কি না। সে অভিযোগ করলে আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। আর না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় কথা বলে এলাকাবাসীর সাথে মিলে মুচলেকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!