গোপালগঞ্জে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে 29 জন তরুণ-তরুণী নিয়োগ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
এই নিয়োগে নরুন্নবী গাজী, আশা মনি সহ আরও অনেকেই সফল হয়েছেন। নরুন্নবী পাঁচবার বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু এবার পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়ে তিনি আনন্দিত। আশা মনিও নারী হিসেবে চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা থেকে 29 টি কনস্টেবল পদের বিপরীতে 1 হাজার 304 জন বেকার তরুণ-তরুণী আবেদন করেছিলেন। শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষায় 266 জন লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় 264 জন উত্তীর্ণ হলেও নকল কারার দায়ে 2 জন বহিষ্কার হন। সেখান থেকে 55 জন মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
চাকরিপ্রাপ্ত নরুন্নবী গাজী বলেন, "চাকরি পাওয়ায় আমি আমার মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে সাহস দিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ সুপারকেও ধন্যবাদ জানাই। কারণ তিনি স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগে দিয়েছেন। আমি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে চাই।"
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা বলেন, "1 হাজার 304 জনের মধ্যে থেকে 29 জনকে বাছাই করা খুবই কষ্টসাধ্য। আমার অন্যান্য কর্মকর্তারা আমাকে এ কাজে সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তায় আমি মেধাবী ও যোগ্যদের বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। এই চাকরিপ্রাপ্ত 29 জন তরুণ-তরুণীরা মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশ ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করি।"
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!