জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগ কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইংরেজি বিভাগের অনুরাগ বাসফোর (৪৭তম ব্যাচ): ১ বছরের জন্য বহিষ্কার। তার বিরুদ্ধে গত ১৯ মার্চ রাতে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলে তালা ভেঙে কক্ষ দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোস্তাকিম রহমান (৪৯তম ব্যাচ): ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার। একই অভিযোগে।
ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির আরমানুল আলম (৪৯তম ব্যাচ): ৩ মাসের জন্য বহিষ্কার। একই অভিযোগে।
রসায়ন বিভাগের জাহিদ মোস্তফা (৪৭তম ব্যাচ): আজীবন বহিষ্কার। গত বছরের ১১ জুন রসায়ন বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তরপত্র নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মেহেদী হাসান: সাময়িক বহিষ্কার। গত ২০ মার্চ বিকালে জাবিতে ঘুরতে আসা বহিরাগত চার কিশোরকে আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনায়।
পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের ইমরান নাজিজ: সাময়িক বহিষ্কার। একই ঘটনায়।
পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের এহসানুর রহমান: সাময়িক বহিষ্কার। একই ঘটনায়।
ইংরেজি বিভাগের সজীব মণ্ডল (৪৯তম ব্যাচ): সাময়িক বহিষ্কার। সম্প্রতি বাস আটকে ছাত্রলীগের ‘চাঁদাবাজির ঘটনায়’।
একজন অজ্ঞাতনামা ছাত্রী: ১ বছরের জন্য বহিষ্কার। গত ৯ জানুয়ারি জাবির একটি ছাত্রী হলের কক্ষে সিগারেট থেকে আগুন লাগার ঘটনায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!