আমরা সবাই জানি শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষিত ব্যক্তি দেশকে এগিয়ে নেয়, দেশকে উন্নতিকে উন্নত শিখরে পৌঁছে দেয়। শিক্ষিত ব্যক্তি দেশের বা রাষ্ট্রের সুনাগরিক। মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় পরিবার থেকে আর তা শেষ হয় কোনো ডিগ্রি বা বড় ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা জন্ম থেকে মৃত্যুে পর্যন্ত গ্রহণ করে মানুষ। কিন্তু বর্তমানে কয়জনই বা বাহ্যিক শিক্ষা গ্রহণ করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতীত। আগেরকার সময় চাকরির অভাব ছিল না, ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাকরিতে প্রতিযোগিতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতীত আর কোনো বাহ্যিক শিক্ষা গ্রহণ করে না।
শুধু চাকরির যুদ্ধের জন্য মানুষ নিজেকে প্রস্তুত করে। মানুষ তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির দায়িত্ব গ্রহণ করে। নিজ দায়িত্ব অনুযায়ী তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়। যদি সেই শিক্ষা ভুল হয় তাহলে দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। এক সময় শিক্ষার মান অনেক ভালো ছিল এবং পদ্ধতিও অনেক কঠোর ছিল। কিন্তু তা বর্তমানে নেই। প্রতি বছর এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা শুরু হওয়র আগে শোনা যায় প্রশ্নফাঁস হওয়ার কথা, রেজাল্টের আগে শোনা যায় রেজাল্ট চেঞ্জ করে দেওয়ার কথা। অনেকেই পায় যোগ্যতার ভিত্তিতে রেজাল্ট আবার অনেকেই পায় দুর্নীতির ভিত্তিতে রেজাল্ট। বর্তমান সময়ে একটা আলোচিত বিষয় হলো চাকরি । চাকরির ক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিযোগিতা, তাই সরকারের দরকার শিক্ষা ব্যবস্থা কড়া করা বা নজরে রাখা সহ বহুমুখী করা ।
লেখক পরিচিতিঃ
মোঃখোরশেদ আলম,প্রধান শিক্ষক, মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়,মতলব উত্তর, চাঁদপুর।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!