বানিয়াচং, হবিগঞ্জে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়ার অনিশ্চয়তায় ছিলেন বানিয়াচং উপজেলার মেধাবী ছাত্রী তামান্না আক্তার। কিন্তু এখন তার ভাগ্যের দরজা খুলে দিয়েছেন বেশ কিছু দানশীল মহানুভাব।
হবিগঞ্জ এ্যাপোলো হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র দেব তামান্নাকে কলেজে ভর্তি ও ড্রেস কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপদেষ্টা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সদস্য ও অতিথিবৃন্দও এতে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এডঃ ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল এমপি তামান্নার ভর্তির প্রয়োজনীয় অর্থ ও একটি সরকারি ঘর বরাদ্ধের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উচ্চপদস্থ অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা সহ আরও অনেকেই তামান্নার ভর্তি সহায়তায় ও পরিবারটির অস্বচ্ছলতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তামান্না আক্তার বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের হতদরিদ্র দিন মুজুর মোঃ সিতু মিয়ার কন্যা।
তার বাবার নিজস্ব কোন বাড়িঘর নেই, অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করেন।
তামান্নার বাবা যেদিন দিন মুজুরী করে আয় করতে পারেন সেদিন পরিবারের সবার ভাত জুটে, নয়তোবা সবাইকে উপোস থাকতে হয়।
তামান্না আক্তারের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।সে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যেতে চায় এবং তার পরিবারের ভাগ্য উন্নত করতে চায়।
এই ঘটনা স্পষ্ট করে তুলেছে যে, মানুষের যদি সদয় মন থাকে তাহলে যেকোনো বাধাও অতিক্রম করা সম্ভব। তামান্নার এই গল্প আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে যে, দারিদ্র্য কখনো স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!