ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়,অফিস সহকারী তোফাজ্জল হোসেনের এলাকায় স্কুল হওয়ায় বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা ভোগ করে আসছেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির যিনিই সভাপতি হন, তিনিই অফিস সহকারীর আত্মীয়। এই সুযোগে তিনি অনেক অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। তিনি ২০২৩ সনের স্কুলের ভর্তি, পরীক্ষার ফি ও বেতনের ৬ মাসের প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা স্কুলের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। আগষ্ট বিপ্লবের পর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অফিস সহকারী তোফাজ্জল হোসেন তার আধিপত্য বজায় রাখার জন্য এলাকায় গ্রোপ সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন।
প্রধান শিক্ষক তার টাকা জমা দেওয়ার কথা বললে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাঈন উদ্দীন নামক জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ কারী দাখিল কৃত অভিযোগ নিজেই পড়তে পারবেন না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন।
স্কল কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্কুলের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদানের পর মাত্র ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। তিনি প্রধান শিক্ষক ও কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ভূয়া ভাউচার করে আত্মসাৎ এর চেষ্টা করছেন। একাধীক অভিভাবক অফিস সহকারীর খরচকে হাস্য কর বলে জানিয়েছেন। এছাড়া অফিস সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিস কক্ষের হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি চাবি হস্তান্তর করেননি। একজন অফিস সহকারী প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা দিয়ে নিজের শক্তি প্রদর্শন করেছেন বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
তিনি আগে ছিলেন আওয়ামী লীগ পন্থি এখন বিএনপির লোক বলে প্রচার করছেন। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন,একজন অফিস সহকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কুল কমিটির সভাপতির আদেশ অমান্য করার দূ:সাহস পেলেন কোথায়! অতিসত্বর থাকে বহিস্কৃত করার দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক মহল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!