মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১২ (১) ধারা অনুসারে জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল খান, কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে ২৬ নভেম্বর নিয়োগ করা হয়। কিন্তু নিয়োগ পাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে বির্তক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন তিনি বিতর্কিত ভিসি কলিমুল্লাহ এর এর ঘনিষ্ঠ ।এছাড়া একজন সেনা কর্মকর্তাকে কেন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের ভিতরে আলোচনা-সমালাচনা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছেন এবং তার অপসারণ চেয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
ইতিহাস বিভাগের (১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোশাররফ বলেন,যে রাষ্ট্রপতি নিজেই বিতর্কিত তার সিগনেচারে একজন ট্রেজারার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন যে ব্যাক্তি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করেছেন ।এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি , অনিয়মের সাথে জড়িত।একই সাথে বিতর্কিত ব্যক্তি কলিমুল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কলিমুল্লাহ এর নেতৃত্বে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা বিভাগের (১৪-১৫) শিক্ষাবর্ষের জাহিদুল ইসলাম সাকিন বলেন,তার কোনো কার্যক্রম করার সুযোগ দিবো না,তাকে এই ক্যাম্পাস কখনো মেনে নিবে না, শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করব না , শহীদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে চাই।তিনি যদি অফিসে আসার কোনোভাবে চেষ্টা করেন আমরা তাকে প্রতিহত করব।
বাংলা বিভাগের (১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের আশিক বলেন, জুলাই বিপ্লবের প্রথম স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে খুনী হাসিনার প্রেতাত্মারা নেতৃত্ব দিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী সেটা কখনো মেনে নিবে না।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!