বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মেডিকেল সেন্টারে গেলে নাপা ব্যাতিত মিলছে না কোনো ঔষধ,ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।গতকাল ১৭নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বারোতম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে মেয়াদোত্তীর্ন ব্যাথানাশক দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ।স্বরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক।নাপা ছাড়া তাদের কাছে তেমন কোনো ঔষধ নেই। ঔষধ লিখে দিলেও বাইরে থেকে কিনে খেতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বারোতম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ বলেন,"আমি হাতে ব্যাথা পাবার পরে ভার্সিটির মেডিকেলে যাই ট্রিটমেন্টের জন্য , পরে ডিউটিতে থাকা ডাক্তার আমাকে ব্যাথানাশক স্প্রে করার কথা বলেন, আমি যখন নার্সের কাছে চাই ওনি প্রথমে একটা স্প্রেয়ার দেয় সেটা নষ্ট থাকায় আরেকটা দেয়, আমি স্প্রে করার সময় লক্ষ করি স্প্রে হচ্ছেনা এবং তরলাকারে বের হচ্ছে, তার পরে সন্দেহ করে মেয়াদ দেখে দেখি যে আরো দুই মাস আগে মেয়াদ শেষ ওষুধের"
এরূপ গাফিলতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার তানজিন রহমান বলেন," মেয়াদোত্তীর্ন ব্যাথানাশক দেয়ার ব্যাপারটি সত্য এবং এব্যাপারে আমরা আমাদের দায়িত্বে উদাসীনতার জন্য, খেয়াল না করার জন্য দু:খিত এবং তিনি আরো বলেন শুধুমাত্র নাপা রয়েছে এমন খবরটি সত্য নয়।তবে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ,ঠান্ডা,কাশির ঔষধসহ বেশকিছু ঔষধ শেষ হয়ে গেছে,সেটি খুব শীঘ্রই পূরণ করার জন্য প্রসেস চলমান রয়েছে। "
এরূপ উদাসীনতা এবং দায়িত্বহীনতার ব্যাপারে বিশ্ববদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মনিরুল ইসলাম বলেন,মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধের ব্যাপারে আমি শুনিনি,যেহেতু জানতে পেরেছি,আমি এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছি এবং তিনি আরো বলেন,ঔষধের ঘাটতির ব্যাপারটি আমি জানি এবং এ ব্যাপারে অর্থের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই এর একটি সুষ্ঠু সমাধান করবো আমরা"।
উল্লেখ্য যে,এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের কাছে ফোন দেয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!