বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সমন্বয়করা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তর, উপ-উপাচার্য দপ্তর, আইকিউএসি দপ্তর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের রুমে তালা ঝুলিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের রুম তালা ঝুলানোর জন্য খুঁজলেও রুম খুঁজে পায়নি।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত দপ্তরগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয় সমন্বয়করা।
তালাবদ্ধ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে অন্যতম আবু রায়হান ‘সারা বাংলাদেশে এখনো স্বৈরাচার দোসররা বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে বসে আছে। স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও মঈন ক্রিটিক্যাল থিংকার আবার কীভাবে ক্যাম্পাসে আসা যায় সে চিন্তা করছে। কতটুকু নির্লজ্জ হলে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের স্যার ও মেহেদী স্যার পদত্যাগ করেনি। ছাত্রদের কাছে হেনস্তা হওয়ার আগে মানসম্মান নিয়ে আপনারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করুন।’
সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, 'আমরা চাই ক্যাম্পাসে সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করুক। সকল ধরনের দুর্নীতি উৎখাত হউক। আমাদের হলগুলোতে যদি কেউ দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আসে, তাহলে আমরা সকলে মিলে একসাথে তা প্রতিহত করবো। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের ছোট ভাইদের ধরে নিয়ে মেরেছেন, তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবেন বলে আশা করি। আমরা আপনাদের সাথে সংঘাত চাই না।'
এর আগে রবিবার (১১ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন করে রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এবং অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় সমন্বয়করা। তবে আজ তারা রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের বিষয়টি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে তাদের জিগ্যেস করা হলে তারা জানান, 'গত ৬ বছর উনি বঞ্চিত ছিলেন। সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। জানার পর আমরা ওনার পদত্যাগের বিষয়টি প্রত্যাহার করে নিলাম।'
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!