মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় হাজীগঞ্জে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে উপজেলার শীর্ষস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। উপজেলার নামকরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সন্তোষজনক ফলাফলসহ ৫৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে এইচএসসি বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ জন এবং বিএমটি থেকে ১১ জন শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিএমটি হতে ৯১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৩৪ জন। এর মধ্যে ৫৮ জন জিপিএ-৫, এ গ্রেড ৩০৭ জন, এ মাইনাস ১৯১ জন, বি গ্রেড ১১৮ জন, সি গ্রেড ৫৮ জন, ডি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৭৬ জন ও পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৭ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থেকে ৮০৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬২৮ জন। পাশের হার ৭৭.৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন, এ গ্রেড ২১২ জন, এ মাইনাস ১৯১ জন, বি গ্রেড ১১৮ জন, সি গ্রেড ৫৮ জন ও ডি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৮০ জন শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো।
অপর দিকে বিএমটি বিভাগ হতে ১০৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৬ জন। পাশের হার ৯৭.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন ও এ গ্রেড ৯৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য ৩ শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো। সে হিসাবে বিএমটি শাখায় শতভাগ শিক্ষার্থীই পাশ করেছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ বলেন, প্রত্যাশা ছিল আমার শিক্ষার্থীরা আরো ভালো ফলাফল অর্জন করবে। তবে আমি অসন্তুষ্ট না। কারণ এই শিক্ষার্থীরা যখন এসএসসি পরীক্ষা দেয়, তখন দেশে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রভাব ছিল। এর মধ্যে তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে এবং কলেজেও তারা শর্ট সিলেবাসে ক্লাস করেছে।
শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে তিনি আরো বলেন, এইচএসসি পাশ এবং ভালো রেজাল্ট করা যেমন একটা কঠিন বিষয়, তার চেয়ে আরো কঠিন বিষয় হলো ভালো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া। আমার আশা থাকবে, অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। এক্ষেত্রে যদি কারো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তাহলে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!