বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কলা ও মানবিক এর গবেষণা প্রকল্পের অনুদান পেলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চার শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রকাশিত ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, 'এক্সপ্লোরিং দ্যা হিস্টোরিক্যাল এন্ড আর্কিওলজিক্যাল এভিডেন্স ফর ইউনানি এন্ড আয়ুর্বেদ মেডিসিন: ইনসাইট’স ইনটু ট্রেডিশনাল হেলিং প্র্যাক্টিস এন্ড কালচারাল হেরিটেজ ইন বাংলাদেশ" শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের জন্য অনুদান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং "স্কালাপ্টারাল হেরিটেজ অফ এনসিয়েন্ট বিক্রমপুর: আইকনোগ্রাফিক ডকুমেন্টেশন এন্ড ইস্টাইলেস্টিকস এনালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের অনুদান পেয়েছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা।'
এছাড়াও "কুমিল্লার লোককিসসা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ" শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের জন্য অনুদান পেয়েছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম এবং "টাঙ্গাইলের পাহাড় অধ্যুষিত এলাকার (মধুপুর, ঘাটাইল ও সখিপুর): লোকসংস্কৃতি ও লোকসাহিত্য" শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের জন্য অনুদান পেয়েছেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, 'গবেষণা প্রকল্পের অনুদানটা পেয়ে আমি খুব খুশি এবং আনন্দিত হয়েছি। সামনে আরো বৃহৎ প্রকল্পে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। গবেষণাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ। গবেষণার ভিতরেই আছি আমরা, গবেষণাই করছি। এটা একধরনের স্বীকৃতি, এটা আমাদের অনুপ্রেরণিত করবে।'
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, 'একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রশান্তির জায়গাটা হচ্ছে একজন ভালো গবেষক হয়ে উঠা। আমিও চেষ্টা করছি একজন ভালো গবেষক হয়ে উঠার জন্য। সেখানে সমস্যাগুলো, সংকটগুলো, সেগুলো কীভাবে ডেভেলপ করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। তারই অংশ হিসেবে ইউজিসিতে প্রকল্পটি দেওয়া। এটি অনুমোদিত হওয়াতে আমি খুবই আনন্দিত। একই সঙ্গে এটি হচ্ছে আমার জন্য একটি সুযোগ। আমি চেষ্টা করবো আমরন গবেষণার সাথেই থাকা। আশা করি আমার গবেষণার মধ্যে ভালো কিছু উঠে আসবে।'
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!