ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের পর কয়েকটি সংগঠন তার পদত্যাগ দাবি করে সমাবেশ করেছে। তারা বঙ্গভবন ঘেরাও করে রাষ্ট্রপতিকে পদ ছাড়তে নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন, তবে তার পদত্যাগ নিয়ে বিশেষ কিছু বলেননি। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে নতুন করে প্রসঙ্গ তোলা সন্দেহজনক। এটা একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।”
অন্যদিকে, জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান অভিভাবক। কিন্তু তার ভূমিকা রাজনৈতিক ও নৈতিক স্খলনের শামিল।” তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হবে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!