মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার নাসাকে চাঁদের জন্য একটি বিশেষ টাইম জোন তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছে। এই নতুন সময়রেখা, যার নাম "কোঅর্ডিনেটেড লুনার টাইম জোন" (Coordinated Lunar Time Zone), চন্দ্রপৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা ও মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চাঁদে সময়ের গতি ভিন্ন: পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে সময় প্রতিদিন প্রায় ৫৮.৭ মাইক্রোসেকেন্ড দ্রুত চলে। মহাকাশযানের সাথে যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সময়ের পার্থক্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়: নতুন টাইম জোন চাঁদে কাজকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় সহজতর করবে।
মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সময়ের ধারণা: বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মহাকর্ষের প্রভাবে সময় ভিন্নভাবে চলে। চাঁদের দুর্বল মহাকর্ষ ক্ষেত্রে সময়ের এই বৈচিত্র্য আরও প্রকট।
পারমাণবিক ঘড়ির ব্যবহার: বর্তমানে পৃথিবীতে সময় পরিমাপের জন্য শত শত পারমাণবিক ঘড়ি ব্যবহার করা হয়। চাঁদে স্থাপিত পারমাণবিক ঘড়ি পৃথিবীর ঘড়ির তুলনায় ৫০ বছরের ব্যবধানে প্রায় এক সেকেন্ড দ্রুত গতিতে চলবে।
প্রফেসর ক্যাথরিন হেইম্যানস: "মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সময় ভিন্নভাবে চলে - এটি মহাবিশ্বের মাধ্যাকর্ষণের মৌলিক তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। চাঁদের দুর্বল মহাকর্ষের কারণে সেখানে সময়ের গতিও আলাদা।"
কেভিন কগিন্স: "চাঁদে স্থাপিত পারমাণবিক ঘড়ি পৃথিবীর ঘড়ির চেয়ে ভিন্ন গতিতে চলবে। তাই চাঁদ, মঙ্গলের মতো প্রতিটি মহাজাগতিক বস্তুর নিজস্ব সময় পরিমাপ ব্যবস্থা থাকা যৌক্তিক।"
চাঁদের জন্য আলাদা টাইম জোন তৈরি মহাকাশ গবেষণা ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি বিজ্ঞানীদের মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সময়ের ধারণা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!