ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির চিফ অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, শুধু সুদ হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মজুত বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, "মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদ হারের কথা বলা হয়। সুদ হার হলো একটি মাত্র ইনস্ট্রুমেন্ট। মূল্যস্ফীতি কমাতে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এখন একটি মোক্ষম সময়। চমৎকার বোরো ফসল হচ্ছে। কোনো সময় আমরা সংরক্ষণ করতে পারি না। কারণ মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা চুয়াত্তরে দুর্ভিক্ষ করেছিল, তারা সব সময় তৎপর, এখনো তৎপর।"
তিনি আরও বলেন, "কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও মিল মালিকেরা মিলে কৃষকের কাছে গিয়ে বলেন, ধানে পোকা, কিনব না। এতে তারা বিপদে পড়েন। সরকারের কাছে নিবেদন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আড়াইগুণ মজুত বাড়াতে হবে। তিন-চার মাস ধরে যদি খোলা বাজারে অপারেশন চালানো যায়, চাল-ডাল-পণ্য বিক্রি করা যায় এবং বাজার মনিটরিং করা যায়, তাহলে অবশ্যই মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে। তবে অবশ্যই মজুত আগে বাড়াতে হবে। শুধু সুদ হার দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না।"
ড. ফরাসউদ্দিন বলেছেন, বাজেটের পরিধি আরও বড় করার প্রয়োজন। আদর্শ হলো জিডিপির ২০ শতাংশ, পাঁচ ভাগের এক ভাগ। আমরা কোনো বছরই শতকরা ১৭ ভাগের বেশি যেতে পারি না। কাজেই অনেকদূর যেতে হবে।
সাবেক গভর্নর আরও বলেন, "আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বড় প্রশ্ন হলো, আমরা রাজস্ব আদায় করতে পারি না। আমাদের ৯০ লাখ লোকের অনেক রাজস্ব দেওয়ার কথা, তার মধ্যে মাত্র নয় লাখ লোকের কাছ থেকে আমরা নিতে পারি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!