বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন যে, আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানোর লক্ষ্যে এই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকার বিদ্যুতে বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।
নসরুল হামিদ আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে গ্যাসের দামও সমন্বয় করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে দেশেও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। একইভাবে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।
লাইফলাইন গ্রাহক (০-৫০ ইউনিট): ৩৪ পয়সা
৫১-১০০ ইউনিট: ৪০ পয়সা
১০১-২০০ ইউনিট: ৫০ পয়সা
২০০-৩০০ ইউনিট: ৬০ পয়সা
৩০০-৪০০ ইউনিট: ৬৫ পয়সা
৪০০ ইউনিটের বেশি: ৭০ পয়সা
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের মানুষদের উপর এর প্রভাব বেশি পড়বে। এছাড়াও, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি। তারা বলছেন, বর্তমানে জীবনযাত্রার খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করলে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকসান আরও বেড়ে যাবে। এছাড়াও, ভর্তুকির বোঝা কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সরকার বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের সাবসিডি রেশনালিজেশন
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!