রুহুল আমিন, ব্যুরো চিফ কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১০৫ টি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার
মাছ চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাছ চাষ করে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে তা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করছেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৯৫৫ টি পুকুর রয়েছে, মৎস্য চাষির সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ জন। নিবিড় ও উচ্চ নিবিড় চাষ পদ্ধতি পুকুরের সংখ্যা রয়েছে ৬৭৫ টি।
জানা যায়, বর্তমানে ফরমালিনের কারণে অনেকে মাছ কিনতে ভয় পান। তাই এই উপজেলার চাষিরা ফরমালিনমুক্ত তাজা মাছ চাষে আগ্রহী হন। এই উপজেলার গ্রামের যেদিকে চোখ যায় শুধু পুকুর আর পুকুর। এসব পুকুরে চাষ হচ্ছে- রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, তেলাপিয়া, পাংগাসসহ বিভিন্ন মাছ। ব্যবসায়ীরা এই উপজেলার উৎপাদিত তাজা মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের দশদ্রোন গ্রামের মৎস্য চাষি মাওলানা জুবায়ের আহমাদ বলেন, আমি ১২ কাটা (১২০ শতক) পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করছি। মাছ চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মতো অনেক চাষিই মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার উৎপাদিত তাজা মাছ এই জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের এখানকার মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ আমার উৎপাদিত মাছে কোনো ফরমালিন নেই। মানুষ নির্বিঘ্নে আমার উৎপাদিত মাছ ক্রয় করে খেতে পারে। ফলে আমার মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই অন্যান্য চাষের থেকে মাছ চাষে আমি বেশি লাভবান হতে পারছি।
তাড়াইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিত পন্ডিত বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে চাষিদের অনেক বিষয়েই সেবা দেয়া যাচ্ছে না। তারপরও মাছ চাষিদের তালিকা করে তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!