অবশেষে নিলামে উঠছে এমপি সুবিধায় আনা বিলাসবহুল ২৪টি গাড়ি। ইতিমধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে আরও ১৮টি গাড়ি নিলামে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব গাড়ি সংসদ সদস্য হিসেবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা হয়েছিল, কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক এমপিরা আর গাড়িগুলো আনতে পারেননি।
চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে রাখা গাড়িগুলো আমদানিকারকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেলিভারি নেননি। তাই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে উঠানোর জন্য চিঠি দিয়েছে। নিলামের আগে আমদানিকারকের ঠিকানায় দুই দফায় অবগত চিঠি পাঠানো হয়, যার প্রথম চিঠিটি ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
এবার নিলামে উঠতে যাচ্ছে ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, টয়োটা জিপ, মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। বর্তমানে এসব গাড়ির বাজারমূল্য প্রতিটির ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে গাড়িগুলোর আমদানিমূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ‘গাড়িগুলো ৩০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি না নেওয়ায় নিলামে উঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গাড়িগুলো গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরে এসেছে।’
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অনুরূপা দেব জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে নির্দেশনা না আসায় তারা কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না। তবে নিলাম শাখার মুখপাত্র সাইদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, ডেলিভারি না নেওয়ার কারণে নিলাম শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিঠি প্রক্রিয়াধীন।
এখন পর্যন্ত নিলামে ওঠার জন্য প্রস্তুত ২৪টি গাড়ির মধ্যে পিরোজপুর-২-এর মহিউদ্দিন মহারাজ, ময়মনসিংহ-৭-এর এ বি এম আনিসুজ্জামান, এবং সিরাজগঞ্জ-২-এর জিন্নাত আরা হেনরি’র মতো এমপিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বিগত সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্পিকারের অনুমোদন নিয়ে ৫০ এমপি শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে গাড়ি আমদানি করেছিলেন। গাড়িগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই জাপান থেকে এসেছে এবং সবগুলো গাড়ির গায়ে এমপির নাম লেখা রয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, এসব বিলাসবহুল গাড়ির নতুন মালিক কারা হন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!