রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা সবজি চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই অঞ্চলে সবজি চাষে কৃষকের ঘরে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় রবি ও খরিপ মৌসুমে ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এসব জমিতে করলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পুই শাক, মুলা, টমেটো, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হয়েছে।
প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি সবজির সর্বনিম্ন ৩০ টাকা হলে প্রতি মেট্রিক টন বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকায়। সেই হিসাবে দুই মৌসুমে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন সবজির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকার ওপর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কৃষি বিভাগ পতিত জমিতে সবজি উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করেছে। এতে কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পেয়েছেন।
তবে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা কৃষকদের লাভের একটি অংশ নিজেদের পকেটস্থ করেছে। এতে কৃষকদের লাভের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলে সবজি চাষে সাফল্যের বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
অনুকূল আবহাওয়া,প্রচুর জল সম্পদ,উৎপাদনশীল মাটি,সরকারি প্রণোদনা,কৃষকদের আগ্রহ
উত্তরাঞ্চলে আবহাওয়া সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং তাপমাত্রা সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত থাকে। এছাড়াও, এই অঞ্চলে প্রচুর জল সম্পদ রয়েছে, যা সবজি চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উত্তরাঞ্চলের মাটি সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উৎপাদনশীল। এই অঞ্চলে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটি সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত।
সরকার সবজি চাষিদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে কৃষকদের সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা সবজি চাষে অত্যন্ত আগ্রহী। তারা সবজি চাষে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। এতে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলে সবজি চাষে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত সবজি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!