তাহাজ্জুদ নামাজ, যা সালাতুল লাইল নামেও পরিচিত, রাতের শেষভাগে আদায় করা একটি নফল নামাজ। এটি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ একটি নামাজ।
তাহাজ্জুদ নামাজের কিছু ফজিলত :
আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ: তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের একটি মাধ্যম। রাতের শেষভাগে, যখন বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তখন তাহাজ্জুদ আদায়কারীরা আল্লাহর সাথে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পায়।
গুণাগারের মাফ: তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার একটি উত্তম সময়। এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে গুনাগারের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়।
জান্নাত লাভ: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়মিত আদায়কারীরা জান্নাতে যাবে।
কুপ্রবৃত্তি দমন: তাহাজ্জুদ নামাজ নফসের কুপ্রবৃত্তি দমন করতে সাহায্য করে। রাতের শেষভাগে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করা নফসের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
মানসিক শান্তি: তাহাজ্জুদ নামাজ মনকে শান্তি ও প্রশান্তি দেয়।
রিজিক বৃদ্ধি: তাহাজ্জুদ নামাজ রিজিক বৃদ্ধির মাধ্যম।
আযাব থেকে মুক্তি: তাহাজ্জুদ নামাজ কবরের আযাব থেকে মুক্তির মাধ্যম।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম:
তাহাজ্জুদ নামাজ অর্ধ রাতের পর যেকোনো সময় আদায় করা যায়। তবে, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের ন্যূনতম ২ রাকাত এবং সর্বোচ্চ ১২ রাকাত।নামাজের পূর্বে নিয়্যত করতে হবে।
নামাজের সময় শুধুমাত্র আল্লাহর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে:
তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল নামাজ হলেও, এর ফজিলত অপরিসীম। নবী (সাঃ) তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্যবান, তারা রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) অবশ্যই আদায় করো। কারণ, এটি ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ।" (তিরমিজি)
আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা এবং এর ফজিলত থেকে লাভান্বিত হওয়া।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!