জিলকদ মাস হলো ইসলামী চন্দ্রবর্ষের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) দ্বিতীয় মাস এবং জিলহজের (হজের মাস) জোড়া মাস। হারাম মাসের তৃতীয় মাসও হলো জিলকদ। হারাম মাস হলো মহররম, রজব, জিলকদ এবং জিলহজ। ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহা (জিলহজ মাস) মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় জিলকদ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চারটি মহিমান্বিত মাসের মধ্যে জিলকদ অন্যতম: আল্লাহ তাআলা যে চারটি মাসকে 'আশহুরে হুরুম' অর্থাৎ হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে জিলকদ অন্যতম।
হজের প্রস্তুতির দ্বিতীয় মাস: জিলকদ হজের প্রস্তুতির দ্বিতীয় মাস। হজের নির্দিষ্ট তিনটি মাস রয়েছে, যার মধ্যে প্রথমটি হলো শাওয়াল, দ্বিতীয়টি হলো জিলকদ এবং তৃতীয়টি হলো জিলহজের ১০ দিন।
মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে ইতিকাফ করেছেন: যে ৩০ দিন ও ১০ দিনের ওয়াদা আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.)-কে দিয়েছিলেন, সেই ৩০টি দিন ছিল জিলকদ মাসে এবং ১০ দিন ছিল জিলহজ মাসে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) সব ওমরাহ আদায় করেছেন জিলকদ মাসে: রাসুল (সা.) তাঁর সব ওমরাহ জিলকদ মাসে আদায় করেছেন। শুধু শেষ ওমরাহ ছাড়া, তিনি তা হজের মাসে আদায় করেছিলেন।
জিলকদ মাসে রোজা রাখা: জিলকদ ও বাকি আশহুরে হুরুম তথা হারাম মাসগুলোতে নফল রোজা রাখা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল।
ইবাদত করা: জিলকদ মাসে নেক আমল করা অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিকতর উত্তম।
গুনাহ থেকে বিরত থাকা: জিলকদ মাসে গুনাহ করা অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিকতর কঠিন গুনাহ।
হজের প্রস্তুতি নেওয়া: জিলকদ হজের প্রস্তুতির দ্বিতীয় মাস। যারা হজে যেতে চান তারা এই মাস থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন।
ওমরাহ করা: রাসুল (সা.) জিলকদ মাসে ওমরাহ পালন করতেন।
জিলকদ মাস ইসলামে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে ইবাদতের বহু সুযোগ থাকে। মুসলমানদের উচিত এই মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে ইবাদত করা এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!