ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের গোবিন্দ জিওর মন্দিরে দুর্গা প্রতীমা ভাংচুরের সময় মন্দিরবাসীরা দুর্বৃত্তকে হাতে নাতে ধরে ফেলে । পরে খরব পেয়ে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তির নাম ইয়াসিন (২০)।
মন্দিরের বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী গোবিন্দ জানায়, ভোর চারটার সময় ডলি রাণী দাস (৪৫) প্রকৃতির ডাকে সাড়াদিতে ঘর থেকে বের হলে প্রতিমা ভাঙার ঘটনাটি দেখতে পায়। পরে তার চিৎকারে গোবিন্দ ছুটে আসে। এসময় তাকে নাতে নাতে ধরে ফেলে সে।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন এস জানান, প্রতিবছর মধ্যবাজার দূর্গা পূজার প্রতিমা গোবিন্দ জিউ-র মন্দির তৈরী করা হয়ে থাকে। এবারও প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে, শুকানোর জন্য প্রতীমাগুলো রাখা হয়েছে। মন্দিরটির চারপাশে সীমানা প্রাচীর রয়েছে ও রাতে গেইট বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় রাতে ইয়াসিন নামে একজন এসে প্রতীমাগুলো ভেঙে ফেলেছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রতন সরকার জানান, প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা এর পূর্বে গৌরীপুরে কখনোই ঘটেনি। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত। প্রতিমা ভাংচুর ঘটনা সবার মনে প্রভাব সৃষ্টি করবে । অনেকে ধারনা করছেন আটককৃত ইয়াসিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী । তাকে দিয়ে যে বা যারা প্রতীমা ভাংচুর করিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
জেলা পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলামের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মাজহারুল আনোয়ার বলেন, প্রতীমা ভাঙার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তার নাম ইয়াসিন, সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাকে জিজ্ঞেসাবাদ ও তদন্তের পর জানা যাবে।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ জানান, প্রতীমা ভাংচুরের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিক্ষত ও দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ, জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গৌরীপুরে আইন-শৃঙ্খলা জোরদার করা হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!