রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় ফল আজওয়া খেজুর। ছোট আকারের, কালো রঙের এ খেজুর শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং এটি শরীর ও আত্মা উভয়ের জন্যই উপকারী।
বিস্তারিত:
আজওয়া খেজুর আকারে ছোট, কালো রঙের আস্তরণে মোড়া এবং দেখতে কালো জামের মতো। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক একটি ফল। ইসলামী সূত্রে পাওয়া যায়—এ খেজুর কেবল খাবার নয়, বরং চিকিৎসা ও আধ্যাত্মিক সুরক্ষারও উৎস।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“সকালে সবার আগে (মদিনার) উঁচু ভূমির আজওয়া খেজুর খেলে তা জাদু ও বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।”
(মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫৯২)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি ﷺ বলেছেন,
“আজওয়া জান্নাতের ফল, এতে বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক রয়েছে।”
(তিরমিজি: ২০৬৬)
আরও বর্ণিত আছে—
“যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ বা জাদু তার ক্ষতি করতে পারবে না।”
(বুখারি: ৫৭৬৮)
হজরত আলি (রা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি প্রতিদিন সাতটি আজওয়া খেজুর আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ দূর হয়ে যায়।”
(কানজুল উম্মাল: ২৮৪৭২)
আজওয়া খেজুর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে। এটি ইসলামী ঐতিহ্যে আধ্যাত্মিক সুরক্ষা হিসেবেও বিবেচিত।
সংক্ষিপ্ত সারাংশ:
রসুলুল্লাহ ﷺ এর প্রিয় ফল আজওয়া খেজুর কেবল সুস্বাদু নয়, বরং এটি জাদু, বিষক্রিয়া ও নানা শারীরিক সমস্যার প্রতিষেধক। প্রতিদিন সাতটি আজওয়া খেলে শরীর ও আত্মা দুটোই পায় প্রশান্তি ও সুরক্ষা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!