সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হলেও হাইকোর্টের এক আদেশে তাঁদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে তাঁরা মাঠে নেমেছেন।

আন্দোলন ও পুলিশের ভূমিকা
গতকাল সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের পর পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। পরে তাঁরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আন্দোলনকারীরা আবারও জাদুঘরের সামনে অবস্থান শুরু করেছেন। তবে আজ তাঁরা সড়ক অবরোধ করেননি বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।
কেন বাতিল হলো নিয়োগ?
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ, ফল প্রকাশিত হয় ২১ এপ্রিল এবং ১২ জুন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
তবে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করলে আদালত নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট পুরো নিয়োগই বাতিলের আদেশ দেন, যা চাকরিপ্রত্যাশীদের বেকায়দায় ফেলেছে।
আলোচনার উদ্যোগ
আজ দুপুর পৌনে ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের একজন মাইকে ঘোষণা দেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য তাঁদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা ন্যায়সংগত নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!