logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - জাতীয়- যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমায় রোহিঙ্গা সংকটে নতুন জটিলতা: দোহায় গোলটেবিল আলোচনায় ড. ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমায় রোহিঙ্গা সংকটে নতুন জটিলতা: দোহায় গোলটেবিল আলোচনায় ড. ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমায় রোহিঙ্গা সংকটে নতুন জটিলতা: দোহায় গোলটেবিল আলোচনায় ড. ইউনূস । ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সাহায্য হ্রাস পাওয়ায় রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ সংকট শুধুই মানবিক নয়, এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যার রয়েছে গভীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব।


গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের দোহায় ‘রোহিঙ্গা সংকট ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। কাতার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন তিনি।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিচ্ছে, যাদের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। শুধুমাত্র মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি, এবং সংকটের স্থায়ী সমাধান হিসেবে টেকসই প্রত্যাবাসনের কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের

পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
সংকট সমাধানে টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারে।

ড. ইউনূস জানান, রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটার জুড়ে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে।


সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাখাইনে ৫ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে বসবাস করছে।


গত বছর নভেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৯০৯ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়, যাদের মধ্যে ৮৭৫ জনকে ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


অর্থসংকটের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “২০২৪ সালের যৌথ সহায়তা পরিকল্পনায় (জেআরপি) ৮৫২ মিলিয়ন ডলার আহ্বান করা হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৬৪.৪% অর্থ, অর্থাৎ ৫৪৮ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫-২৬ সালের জন্য প্রয়োজন ৯৩৪.৫ মিলিয়ন ডলার।”


তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) সম্প্রতি জানায়, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গা খাদ্য সহায়তা বন্ধ করা হতে পারে। তাৎক্ষণিক অর্থায়নে এটি আপাতত বন্ধ হয়নি, তবে সেপ্টেম্বর থেকে ফের সংকট দেখা দিতে পারে।”


এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে কাতারসহ সম্ভাব্য দাতা দেশগুলোর এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমায় রোহিঙ্গা সংকটে নতুন জটিলতা: দোহায় গোলটেবিল আলোচনায় ড. ইউনূস

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সাহায্য হ্রাস পাওয়ায় রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ সংকট শুধুই মানবিক নয়, এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যার রয়েছে গভীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব।


গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের দোহায় ‘রোহিঙ্গা

সংকট ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। কাতার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন তিনি।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিচ্ছে, যাদের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। শুধুমাত্র মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি, এবং সংকটের স্থায়ী সমাধান হিসেবে টেকসই প্রত্যাবাসনের কোনো বিকল্প নেই।