সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের প্রথম দিনটি যেন রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তায় মোড়ানো ছিল। ৫২ বলে দারুণ সেঞ্চুরি করেছিলেন সিলেটের জিশান আলম। টানা পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও, দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। ঢাকা বিভাগের কাছে সিলেটের পরাজয়ের ফলে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জিশানকে।
শেষ ওভারে নাটকীয় উত্তেজনার মধ্যে শেষ বলে ছক্কা মেরে ঢাকাকে জয়ের স্বাদ দেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শুভাগত হোম। সিলেটের দেওয়া ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ঢাকা। শুভাগতের এই জয়ের ভিত তৈরি করেছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান আরিফুল ইসলাম। তিনি ৪৬ বলে ৮টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন এবং হয়েছেন ম্যাচসেরা।
শেষ বলে ঢাকার দরকার ছিল ৫ রান। সিলেটের পেসার তোফায়েল আহমেদের করা বলটি লং অফ দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে ঢাকাকে জয় এনে দেন শুভাগত। তবে, তার আগে খেলার রোমাঞ্চ তৈরি করেন আরিফুল। তৃতীয় উইকেটে আরাফাত সানি জুনিয়রের সঙ্গে ৪৩ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। আরাফাত করেন ১৮ বলে ২৭ রান।
১৩তম ওভারে আরিফুল যখন ৯৪ রানে আউট হন, তখনো জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ছিল ৬৬ রান। সেই কাজটি সফলভাবে শেষ করেন শুভাগত হোম ও মাহিদুল ইসলাম। যদিও শুভাগত ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন। ১৯তম ওভারে একটি ‘নো’ বলের কারণে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি।
অন্যদিকে, পাশের একাডেমি মাঠেও ঢাকা মহানগর দারুণ খেলেছে। দুই ওপেনার ইমরানউজ্জামান ও মোহাম্মদ নাঈমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৯২ রান তোলে মহানগর। রান তাড়ায় বরিশাল ৮ উইকেটে ১৬১ রানে থেমে যায়। মহানগরের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে বরিশালকে বড় পরাজয়ের মুখে ঠেলে দেন।
এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচগুলোয় ব্যাটসম্যানদের ঝড়ো ইনিংস ও বোলারদের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাফল্য দর্শকদের মন জয় করেছে। তবে জিশানের সেঞ্চুরি ম্লান করে ঢাকার জয় যেন পুরো দিনটির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!