চট্টগ্রাম থেকে:
মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই—তিনি সব সময়ই কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন, এখনো করছেন। আজও যখন দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা দুপুর ২টায়, মুশফিক মাঠে হাজির হয়ে যান দুপুর ১২টা পেরোতেই। একা একাই লম্বা সময় ব্যাটিং করেছেন। যাঁরা মুশফিককে চেনেন, তাঁরা জানেন—এটাই তাঁর চিরচেনা রুটিন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁর ফর্ম নিয়ে। পরিশ্রমের কোনো কমতি নেই, কিন্তু রান যেন উধাও। শেষ ১২ ইনিংসে কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই, চার ইনিংসে তো দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটারকে নিয়ে তাই আলোচনা এখন তুঙ্গে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে মুখ খোলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলি। মুশফিকের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত কিনা জানতে চাইলে জাকেরের জবাব ছিল বাস্তবসম্মত, ‘দলে তো উনি একা খেলছেন না। ওনারই যে সব রান করতে হবে, এমন না। সবারই রান করতে হবে। কারও না হওয়ার সময় আসতেই পারে। প্রতিদিন যে কারও রান হবে, এমন নিশ্চয়তা নেই।’
মুশফিকের পরিশ্রমের প্রশংসা করলেও জাকের মনে করিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের গোটা ব্যাটিং লাইনআপই এখন সংকটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হারের মূল কারণও ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
জাকের তাই দলের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যতজন ব্যাটসম্যান আছে, সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। রান না পেলেও অন্তত লড়াইটা করতে হবে।’
নিজের উদাহরণ টেনে জাকের বলেন, ‘সিলেটের শেষ ইনিংসে হাসান মাহমুদের ব্যাটিং দেখে ভালো লেগেছে। ৫৮ বলে ১২ রান করলেও ওর লড়াইটা ছিল দারুণ। এ রকম মানসিকতা দেখাতে পারলে, সবাই চেষ্টা করলে বড় রান আসবেই।’
এখন অপেক্ষা চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের। দেখা যাক, মুশফিক এবং বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কি পারবেন রান খরার ইতি টানতে?
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!