মোতাব্বির হোসেন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচং পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম। এই গ্রামে আজ থেকে তিন বছর পূর্বে গঠন করা হয় বানিয়াচং বক্সিং একাডেমি। ওস্তাদ জুয়েল রহমানের প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসেন তরুন আইনজীবী মুরর্শেদুজ্জামান লুকুসহ অনেকে। স্কুলের শিশুকিশোর ও কিশোরীদের নিয়ে চলে প্রশিক্ষণ। উৎসাহ যোগান তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানাসহ স্হানীয় সাংবাদিক গণ।
নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সিলেট বিভাগের একমাত্র 'বানিয়াচং বক্সিং একাডেমি।প্রতিদিন বিকালে বক্সিং একাডেমির প্রশিক্ষণ চলে বানিয়াচং মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। বক্সিং প্রশিক্ষণ দেন উস্তাদ জুয়েল রহমান।জুয়েল রহমান জানান,বানিয়াচং বক্সিং একাডেমির ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে এক ছেলে ও দুই মেয়ে পাঁচটি স্বর্ণপদক লাভ করেন। দুই মেয়ে সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুযোগ পেয়েছে। এক মেয়ে ও এক ছেলে বিকেএসপিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন থেকে এখনো পর্যন্ত
কোন আর্থিক অনুদান পাননি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠা বক্সিং একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী অনেকেই দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।বানিয়াচং বক্সিং একাডেমিকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সহযোগিতা কামনা করেছেন বানিয়াচংয়ের সুশীল সমাজ।
ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিগণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের এই দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বানিয়াচং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাস।তাদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে সকল বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহিদ মিয়া বলেন, অতি কম সময়ে বানিয়াচং বক্সিং একাডেমির সফলতা নিশ্চয়ই বানিয়াচংবাসী তথা পুরো সিলেট বিভাগের জন্য গর্বের বিষয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!