সৌম্য সরকারের ১৬৯ রানের ইনিংস ব্যর্থ
নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের লড়াই ছিল নিষ্ফল। সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ১৬৯ রানের ইনিংস ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান দলের জন্য ভরসা জাগাতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশ ২৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই আনামুল হককে ২ রানে ফেরান অ্যাডাম মিলনে। এরপর অধিনায়ক শান্ত এবং লিটন দাসকে ৬ রানে ফেরান জ্যাকব ডাফি। তৌহিদ হৃদয় ১২ রানে রানআউট হন।
এরপর সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিম ৬১ রানের জুটি গড়েন। মুশফিকুর ৫৫ রানে আউট হওয়ার পর সৌম্য একাই লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ৯৯ বলে ১৬টি চার এবং ১টি ছক্কায় ১৬৯ রান করেন।
শেষ ওভারে উইলিয়াম ও'রুরকির বলে সৌম্য, রিশাদ হোসেন এবং হাসান মাহমুদকে আউট করে বাংলাদেশকে ২৯১ রানে অলআউট করে দেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাফি এবং ও'রুরকি ৩টি করে উইকেট নেন। মিলনে, জশ ক্লার্কসন এবং আদিত্য অশোক ১টি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে উইল ইয়ং এবং রচিন রবীন্দ্র ৭৬ রানের জুটি গড়েন। হাসান মাহমুদের বলে রচিন ৪৫ রানে এবং ইয়ং ৮৯ রানে আউট হন। এরপর হেনরি নিকোলস ৯৫ রানে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক টম ল্যাথাম এবং টম ব্লান্ডেল ৩৪ এবং ২৪ রানে অপরাজিত থেকে নিউজিল্যান্ডকে ৪৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯৬ রানে জিততে সাহায্য করেন। নিউজিল্যান্ড এই জয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে।
সৌম্য সরকারের ইনিংস পর্যালোচনা
সৌম্য সরকারের ইনিংসটি ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য একমাত্র স্বস্তির খবর। তিনি ৯৯ বলে ১৬টি চার এবং ১টি ছক্কায় ১৬৯ রান করেন। তার এই ইনিংসটি ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস।
সৌম্যর ইনিংসটিতে ছিল দুর্দান্ত আক্রমণাত্মকতা এবং ধৈর্য। তিনি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন এবং রান তোলার গতি বজায় রাখেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন এবং বাংলাদেশকে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
তবে সৌম্যর ইনিংসটি আরও বড় হতে পারত যদি তিনি শেষ ওভারে আরও সাবধানী হতেন। শেষ ওভারে তিনি উইলিয়াম ও'রুরকির বলে আউট হয়ে যান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!