ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইয়ে একশো বছরের রেকর্ড ভেঙে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাত্র মে মাসেই ১০৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, থমকে গেছে জনজীবন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিকস টাইমস মঙ্গলবার (২৭ মে) জানায়, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে—কোলাবা আবহাওয়া কেন্দ্র সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, যা ‘খুব ভারি বৃষ্টি’র (১১৫.৬–২০৪.৪ মিমি) শ্রেণিতে পড়ে। শহরতলির সান্তাক্রুজে ৩৩.৫ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মে মাসে কোলাবায় রেকর্ডকৃত ২৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ১৯১৮ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। ১৯১৮ সালে মে মাসে বৃষ্টি হয়েছিল ২৭৯.৪ মিমি। এমনকি ২০২১ সালের তৌকতে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও এতটা বৃষ্টি হয়নি (২৫৭.৮ মিমি)।
মুম্বাই শহরের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় নরিমান পয়েন্ট ফায়ার স্টেশনে—১০৪ মিমি। এরপরের অবস্থানে রয়েছে এ ওয়ার্ড অফিস (৮৬ মিমি), কোলাবা পাম্পিং স্টেশন (৮৩ মিমি), মিউনিসিপাল হেড অফিস (৮০ মিমি), কোলাবা ফায়ার স্টেশন (৭৭ মিমি), গ্রান্ট রোড আই হাসপাতাল (৬৭ মিমি), মেমনওয়াড়া ফায়ার স্টেশন (৬৫ মিমি), মালাবার হিল (৬৩ মিমি), এবং ডি ওয়ার্ড (৬১ মিমি)।
পূর্ব শহরতলিতে, মানখুর্দ ফায়ার স্টেশন ও এমপিএস স্কুলে ১৬ মিমি, নূতন বিদ্যা মন্দিরে ১৪ মিমি এবং কালেক্টর কলোনিতে ১৩ মিমি বৃষ্টি হয়। পশ্চিম শহরতলিতে সুপারি ট্যাংক, গজদরবাঁধ স্টর্ম ওয়াটার পাম্প স্টেশন এবং খার দান্দায় ২৯ মিমি; এসডব্লিউএম ওয়ার্কশপ, এইচই ওয়ার্ড অফিস এবং ভিলে পার্লে ফায়ার স্টেশনে ২২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়।
হঠাৎ এই অতিবৃষ্টির ফলে মুম্বাই শহরের রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে, যানজট ও জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। পরিবেশবিদ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবেই এ ধরনের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি ঘটছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!