বাংলার যেমন অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, তেমনি এটিকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য কল্পকাহিনী, উপকথা। আর তেমনি দলটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে যোগ হলো ফেনীর ঐতিহ্যবাহী রাজাঝির দীঘি ।
দীঘিটি সৌন্দর্যে ঘেরা এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ। রাজাঝির দীঘির আরেক নাম রাজনন্দিনী দীঘি। কিংবদন্তি অনুসারে, ত্রিপুরার একজন প্রভাবশালী রাজা মহারাজ তার অন্ধ কন্যাকে সুস্থ করার জন্য প্রায় পাঁচ থেকে সাতশ বছর আগে এই দীঘিটি খনন করেছিলেন। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় কন্যা-কে ঝি। তাই এই দীঘি রাজাঝির দীঘি বলা হয়।
রাজাঝির দীঘির মোট আয়তন ১০.৩২ একর। দীঘির স্বচ্ছ জল আর চারপাশের নির্মল সৌন্দর্য এখনো বজায় আছে। কংক্রিটের জঞ্জাল থেকে বেড়িয়ে নির্মল বায়ুতে প্রশ্বাস নিতে নগরবাসী ছুটে আসেন এই দিঘীর পাড়ে। দর্শনার্থীর বসার জন্য দিঘীর পূর্ব-দক্ষিণ পাশে গাড়ের উপর পাকা সিঁড়ি রয়েছে। চলাচলের জন্য দীঘির দুইপাশ (উত্তর ও পশ্চিম) কিছুটা উম্মুক্ত রাখা হয়েছে। দীঘির জলে যাতে সবাই নামতে পারে সেইজন্য তিন পাশে পাঁচটি সিঁড়ির নির্মাণ করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যে কোনো পরিবহনের বাসে ফেনীর মহিপাল যাওয়া যায়। মহিপাল বাস স্টেশনে রিকশা বা সিএনজি ভাড়া করে রাজাঝির দীঘির যাওয়া যায়।
এছাড়া ঢাকা - চট্রগ্রাম থেকে ট্রেনে ফেনী রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে একইভাবে রিকশা বা হেঁটে ৫ থেকে ৭ মিনিট লাগবে রাজাঝির দীঘি যেতে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!