বিনোদন ডেস্ক | বাংলা বাজ
নিপুণ, সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া—বাংলাদেশের সিনেমা ও নাটকের পরিচিত সব মুখ। তাদের নাম এখন ‘হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি’ হিসেবে আলোচনায়। ঢাকার একটি আদালত গত সোমবার ১৭ জন অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর একদিন পরই রাস্তায় প্রকাশ্যে হেনস্তার শিকার হন অভিনেতা সিদ্দিক। এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম।
‘৩–৪০০ জনকে আসামি করে দেওয়া, এটা কেমন বিচারব্যবস্থা?’
আজাদ আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন—
“৩০০-৪০০ জনকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া, এটা অবাস্তব। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গুলি চালাবে—এটা কেউ বিশ্বাস করে?”
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় অনেক শিল্পী সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছে। কেউ কেউ সরকারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন, এটাও সত্যি। কিন্তু তাই বলে ঢালাওভাবে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা? এটা শিল্পীদের সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা।’
সিদ্দিকের ওপর ‘মব ভায়োলেন্স’, প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন
একই দিনে ঢাকার রমনায় অভিনেতা সিদ্দিকের ওপর জনতা হামলা করে তাকে লাঞ্ছিত করে থানায় সোপর্দ করে। এ বিষয়ে আজাদ বলেন—
“এই তো মব ভায়োলেন্স! কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, মারছে, জামাকাপড় খুলে ফেলছে, শেষে থানায় দিয়ে বলছে ‘আইনকে সোপর্দ করেছি’। এটা বর্বরতা!”
‘অবান্তর’ অভিযোগ, সামাজিক প্রতিরোধের আহ্বান
এছাড়া মামলায় শিল্পীদের ‘অর্থ জোগানদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করার বিষয়টিকেও হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন আজাদ আবুল কালাম।
“আমরা জানি কার কত টাকা আছে! শিল্পীরা কাকে গুলি করার জন্য অর্থ জোগান দেবে? এসব অবান্তর অভিযোগ।”
তিনি মনে করেন, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে মামলাকারীর শাস্তি নিশ্চিত করার আইন থাকা উচিত।
‘শিল্পী না, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ হলেও এমন অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না’
আজাদের মতে, শুধু পরিচিত মুখ নয়, কোনো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও অপরাধ প্রমাণের আগে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা যায় না।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!