হুমায়ুন ফরীদি - একজন অসাধারণ অভিনেতা যিনি মঞ্চ, টিভি এবং চলচ্চিত্র - সব মাধ্যমেই দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন। অভিনয়ের প্রতিভা ছাড়াও, তিনি একজন অনন্য মানুষও ছিলেন। আজ, তার মৃত্যুর এক দশক পূর্তিতে, আমরা তার জীবন ও কর্মের কিছু দিক তুলে ধরছি।
ফরীদি মৃত্যুকে ভয় পেতেন না, বরং তাকে ভালোবাসতেন। তার মতে, মৃত্যু অনিবার্য, এবং এটি জীবনের একটি সুন্দর অংশ। তিনি বলেছিলেন, "মৃত্যুর মতো এত স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ, মৃত্যু অনিবার্য। তুমি যখন জন্মেছ, তখন মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনিবার্য, তাকে ভালোবাসাটাই শ্রেয়।
ফরীদি ঢাকা থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন এবং 'সংশপ্তক' ধারাবাহিকের 'কানকাটা রমজান' চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের মনে দাগ কেটে দেন। চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ও সমানভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। 'হুলিয়া', 'সন্ত্রাস', 'দিনমজুর', 'বীরপুরুষ', 'লড়াকু', 'বিশ্বপ্রেমিক', 'অপহরণ', 'দুঃসাহস', 'দহন', 'একাত্তরের যীশু', 'দূরত্ব', 'ব্যাচেলর', 'জয়যাত্রা', 'শ্যামল ছায়া', 'মায়ের অধিকার', 'অধিকার চাই', 'ত্যাগ', 'মায়ের মর্যাদা', 'মাতৃত্ব' এবং 'আহা!' তার উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি।
২০০৪ সালে 'মাতৃত্ব' ছবির জন্য ফরীদি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন একজন অসামান্য প্রতিভার অধিকারী অভিনেতা। তার অভিনয় দক্ষতা, বক্তৃতা এবং জীবন দর্শন আজও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। তার মৃত্যু বাংলাদেশের অভিনয় জগতের জন্য একটি বড় ক্ষতি।
ফরীদি মৃত্যুকে ভয় পেতেন না, বরং তাকে ভালোবাসতেন। তিনি মঞ্চ, টিভি এবং চলচ্চিত্র - সব মাধ্যমেই দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন।'কানকাটা রমজান' এবং 'খলনায়ক' চরিত্রের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
২০০৪ সালে 'মাতৃত্ব' ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!