বিনোদন প্রতিবেদক
ট্রেনে বোমা! গতি ১০০ কিলোমিটারের নিচে নামলেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ! এমন উত্তেজনাপূর্ণ গল্প নিয়ে এসেছে জাপানি থ্রিলার ‘বুলেট ট্রেন এক্সপ্লোশন’, যা সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। শিনজি হিগুচি পরিচালিত সিনেমাটি নতুন নয়, তবে তার উপস্থাপন ভিন্ন। রুদ্ধশ্বাস ট্রেনযাত্রা, বাঁচার লড়াই আর সাসপেন্সে ভরা পুরো গল্প যেন দর্শকদের বসিয়ে রাখে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত।
ছবির কাহিনি শুরু হয় হায়াবুসা স্টেশন থেকে। গন্তব্য টোকিও। যাত্রীদের মধ্যে আছেন স্কুলশিক্ষার্থী, ইনফ্লুয়েন্সার, কেলেঙ্কারিতে জড়ানো এক রাজনীতিবিদসহ নানা চরিত্র। ট্রেন চলতে না চলতেই আসে এক উড়োফোন—ট্রেনে বোমা আছে! আর সেটি বিস্ফোরিত হবে, যদি ট্রেনের গতি ১০০ কিমি/ঘণ্টার নিচে নামে। শুধু তাই নয়, দাবি ওঠে ১০০ বিলিয়ন ইয়েন মুক্তিপণ, তাও সরকার নয়—তুলতে হবে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে!
গল্পের মোড় ঘোরে যখন এক ইনফ্লুয়েন্সার সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে অর্থ সংগ্রহে নামেন। ওদিকে কন্ট্রোল রুমে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, রেল কর্তারা। শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস পরিকল্পনা। দর্শকের মনে তখন একটাই প্রশ্ন—সফল হবে কি এই অভিযান?
এই প্লটটি অনেকেরই মনে করিয়ে দেবে ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউড ব্লকবাস্টার ‘স্পিড’-এর কথা। কিয়ানু রিভস ও সান্দ্রা বুলকের সেই সিনেমায়ও এমনই একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় একটি বাস।
ট্রেন নিয়ে সিনেমার প্রতি দর্শকের আগ্রহ নতুন কিছু নয়। ১৯৮০ সালের জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’-এর কথা মনে পড়ে। রবি চোপড়ার পরিচালনায় ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্না, জিতেন্দ্রর অভিনয়ে নির্মিত এই ছবি ট্রেনে ঘটে যাওয়া এক নাশকতার কাহিনি। সিনেমাটি ছিল সে বছরের সপ্তম সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র।
গত বছর মুক্তি পাওয়া হিন্দি সিনেমা ‘কিল’-ও প্রমাণ করেছে, ঠিকঠাক নির্মাণ হলে ট্রেনভিত্তিক অ্যাকশন-থ্রিলার এখনো দর্শকদের দারুণ টানে।
‘বুলেট ট্রেন এক্সপ্লোশন’ এই ধারারই এক নতুন সংযোজন। থ্রিল, টানটান উত্তেজনা আর আবেগ—সবই একসঙ্গে পাওয়া যাবে এই জাপানি সিনেমায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!